মার্চ মাস পড়তে না পড়তেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। আর এই সময় থেকেই যতটা হাল্কা খাবার খাওয়া যায়, শরীরের পক্ষে ততই ভালো। চিংড়ির দক্ষিণী স্যুপে মশলা আছে নানারকম। আছে নারকেলের দুধও। তবু এই পদটি হাল্কা এবং সুস্বাদু। তাই দু’টুকরো পাঁউরুটি আর এক গ্লাস জ্যুসের সঙ্গে এই স্যুপে ডিনার জমবে ভাল।
উপকরণ:
চিংড়ি— দেড় কাপ (মাঝারি সাইজের)
গোটা গোলমরিচ— ১ চা চামচ
সরষে— আধ চা চামচ
গোটা ধনে— ২ চা চামচ
মেথি— ৪-৫টি
মৌরি— আধ চা চামচ
পেঁয়াজ— ৩টি
আদা— এক টুকরো (২ ইঞি মাপের)
রসুন— ৪-৫ কোয়া
কারি পাতা— ৬-৮টি
লঙ্কা গুঁড়ো— ১ চা চামচ
নারকেলের দুধ— দেড় কাপ
ফিশ স্টক— ২ কাপ
পাতিলেবু— ১টি
চিনি— এক চিমটে
নুন— স্বাদ মতো
মাখন— ৩ টেবিল চামচ
প্রণালী:
চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিন। গোটা ছয়েক চিংড়িতে সামান্য পাতিলেবুর রস আর অল্প রসুন বাটা মাখিয়ে আলাদা সরিয়ে রাখুন। শুকনো খোলায় গোটা গোলমরিচ, সরষে, ধনে, মেথি, মৌরি হাল্কা করে ভেজে গুঁড়ো করে নিন। ননস্টিক পাত্রে মাখন গরম করে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা আর রসুন বাটা দিয়ে নাড়ুন। লালচে হতে শুরু করলে কারি পাতা, গুঁড়িয়ে রাখা ভাজা মশলা, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন আর চিনি দিন। সামান্য জল দিয়ে নাড়তে থাকুন। এর পর ফিশ স্টক, পাতিলেবুর রস আর নারকেলের দুধ দিন। তাতে চিংড়ি দিন। ঢিমে আঁচ স্যুপ ফুটতে দিন। চিংড়ি সেদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে নিন। স্যুপ ঘরোয়া তাপমাত্রায় এলে মিক্সিতে এক বার পুরোটা মিহি করে বেটে নিন। অন্য একটি পাত্রে অল্প মাখন গরম করে লেবুর রসে ম্যারিনেট করে রাখা চিংড়িগুলো দিয়ে দিন। তাতে সামান্য নুন আর গোলমরিচ গুঁড়ো দিন। চিংড়ির গায়ে লালচে রং ধরলেই নামিয়ে নিন। স্যুপ পরিবেশন করার বাটিতে প্রথমে চিংড়ির মিহি স্যুপ ঢেলে দিন। উপর থেকে মাখনে ভাজা চিংড়ি আর গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন চিংড়ির দক্ষিণী স্যুপ।