আমলা-দু’প্লেসির প্রতিরোধ ভাঙলেন অমিত

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস স্থায়ী হয়েছিল ৩৩ ওভার। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ৪৬.৩ ওভার। আর শুক্রবার সকালে হাশিম আমলা এবং ফ্যাফ দু’প্লেসির পার্টনারশিপ স্থায়ী হল প্রায় ৪৭ ওভার। রান তেমন না হলেও দুই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান দেখিয়ে দিলেন, দেখেশুনে খেললে নাগপুরের পিচেও ব্যাট করা যায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ১৪:৩৬
Share:

দু’প্লেসিকে আউট করে কোহলিদের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস স্থায়ী হয়েছিল ৩৩ ওভার। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ৪৬.৩ ওভার। আর শুক্রবার সকালে হাশিম আমলা এবং ফ্যাফ দু’প্লেসির পার্টনারশিপ স্থায়ী হল প্রায় ৪৭ ওভার। রান তেমন না হলেও দুই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান দেখিয়ে দিলেন, দেখেশুনে খেললে নাগপুরের পিচেও ব্যাট করা যায়। এ বি ডিভিলিয়ার্স আউট হতেই ভারতের সামনে সিরিজ জয় মনে হচ্ছিল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু কিছু ক্ষণের জন্য হলেও আমলা-ডু’প্লেসির পার্টনারশিপ ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় ফ্যানদের মনে। অবশেষে দু’ওভারের মধ্যে দুজনকেই আউট করে ভারতীয় শিবিরে স্বস্তি আনলেন অমিত মিশ্র।

Advertisement

ঘূর্ণি পিচে দ্বিতীয় দিনের শেষেই চালকের আসনে ছিল ভারত। শুক্রবারের সকালে সেই আসনকে আরও মজবুত করেন সেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দিনের দশম এবং ইনিংসের ২৪ তম ওভারে অশ্বিনের ক্যারম বলে বিভ্রান্ত হয়ে যখন মাঠ ছাড়ছেন এবি, কোহলিদের মধ্যে তখন রীতিমতো উত্সবের আমেজ। সিরিজের সেরা ব্যাটসম্যানকে তাড়াতাড়ি আউট করে নাগপুরে তখন অ্যাডভান্টেজ ভারত।

নাগপুরের যে পিচ ছিল শেষ দু’দিন বিতর্কের কেন্দ্রে, এ দিন সকালে সেই পিচে কিন্তু মোটামুটি ভালই মানিয়ে নিয়েছিলেন আমলা-দু’প্লেসি। শেষ পর্যন্ত বল দেখে খেললে যে এই পিচেও অশ্বিন-অমিতদের সামলে নেওয়া যায়, সেটাই যেন সতীর্থদের বোঝাচ্ছে আমলার ব্যাট। ধৈর্যের চরম পরীক্ষা দিয়ে ১৬৭ বলে ৩৯ করলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ১৫২ বলে ৩৯ করলেন দু’প্লেসি। দু’জনে মিলে যোগ করলেন ৭২ রান, যা এই টেস্টে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। টি ব্রেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫১/৬।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন