মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
জয়ে ফিরল বাংলা। আগের ম্যাচে বরোদার কাছে হারতে হয়েছিল অভিমন্যু ঈশ্বরনদের। সেই মাঠেই চণ্ডীগড়কে ৬ উইকেটে হারাল তারা। মুকেশ কুমারের ৫ ও মহম্মদ শামির ৩ উইকেটের পাশাপাশি শতরান করলেন অভিষেক পোড়েল। তবে বিজয় হজারের আরও একটি ম্যাচে রান পেলেন না ঋষভ পন্থ ও অভিষেক শর্মা। ঝোড়ো শুরু করেও বড় রান করতে ব্যর্থ ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী। রিঙ্কু সিংহ অর্ধশতরান করলেন। তবে চমক দিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অনুকূল রায়।
রাজকোটের মাঠে বাংলার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৪৮.২ ওভারে ৩১৯ রান করল চণ্ডীগড়। ১২২ রান করেন অধিনায়ক মনন ভোরা। ৬৭ রান করেন সান্যম সাইনি। বাংলার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মুকেশ কুমার। ১০ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিলেন তিনি। শুরুতে রান দিলেও শেষ দিকে উইকেট নিলেন শামি। ৬৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন তিনি। চণ্ডীগড়কে অল আউট তিনিই করলেন। ২ উইকেট শাহবাজ়ের দখলে। ভোরার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
৩২০ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করে বাংলা। বিশেষ করে ওপেনার অভিষেক। চালিয়ে খেলছিলেন তিনি। প্রথম উইকেটে ১০ ওভারে অধিনায়ক অভিমন্যুর সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। তার মধ্যে ২৫ রান অভিমন্যুর। রান পাননি তিন নম্বরে নামা সুদীপ ঘরামি (১৭)। চতুর্থ উইকেটে অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদারের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি বাঁধেন অভিষেক। ৮৪ বলে ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন বাংলার তরুণ ক্রিকেটার। ১২ চার ও দু’টি ছক্কা মারেন তিনি।
অভিষেক আউট হওয়ার পর বাকি কাজ করলেন অনুষ্টুপ ও শাহবাজ়। অনুষ্টুপ করলেন ৬৩ রান। বল হাতে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে অপরাজিত ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন শাহবাজ়। সুমন্ত গুপ্তের (২২) সঙ্গে মিলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ১৪ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে জেতে বাংলা।
পঞ্জাবের হয়ে আরও একটি ম্যাচে বড় রান করতে পারলেন না অভিষেক। ওপেন করতে নেমে ২৬ বলে ৩০ রান করেন তিনি। ভারতের এক দিনের দলে সুযোগ পেতে হলে আরও ধারাবাহিক হতে হবে অভিষেককে। পঞ্জাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে উত্তরাখণ্ড। প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৬৯ রান করে পঞ্জাব। ১৪ বল বাকি থাকতে রান তাড়া করে নেয় উত্তরাখণ্ড।
রান পাননি পন্থও। দিল্লির হয়ে এই ম্যাচে খেলেননি বিরাট কোহলি। ফলে অধিনায়ক পন্থের কাঁধে দায়িত্ব ছিল বেশি। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রান করে সৌরাষ্ট্র। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৬ বলে ২২ রান করেন পন্থ। যদিও ৩ উইকেটে ম্যাচ জেতে দিল্লি। পন্থের ফর্ম চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। এই ফর্ম থাকলে নিউ জ়িল্যান্ড সিরিজ়ের দলে তাঁর জায়গা পাওয়া কঠিন।
ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দলে জায়গা পেলেও বিহারের হয়ে বিজয় হজারে খেলতে নেমেছিল বৈভব। কিন্তু এই ম্যাচে রান পায়নি সে। ২১৮ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়েছিল বৈভবের। ৯ বলে ৩১ রান করে সে। কিন্তু সেই ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি বাঁহাতি ওপেনার। ১০ বলে ৩১ রান করে আউট হয় বিহারের ছেলে। ছ’টি চার ও একটি ছক্কা মারে সে।
উত্তরপ্রদেশের হয়ে রান পেয়েছেন ধ্রুব জুরেল ও রিঙ্কু। তিন নম্বরে নেমে ১০১ বলে ১৬০ রানের ইনিংস খেলেন জুরেল। ভারতের নিউ জ়িল্যান্ড সিরিজ়ের দলে পন্থের পরিবর্তে ঢোকার দাবিদার হয়ে উঠলে তিনি। রিঙ্কুও রান পেয়েছেন। তবে শতরান হাতছাড়া হয়েছে তাঁর। ৬৭ হলে ৬৩ রান করেন উত্তরপ্রদেশের অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩৬৯ রান করে উত্তরপ্রদেশ। ৫৪ রানে বরোদাকে হারিয়েছে তারা।
চমক দিয়েছেন অনুকূল। ঝাড়খণ্ডের হয়ে পুদুচেরির বিরুদ্ধে ছ’নম্বরে নেমে ৫৩ বলে ৯৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সাতটি চার ও আটটি ছক্কা মারেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৭ উইকেটে ৩৬৮ রান করে ঝাড়খণ্ড। পুদুচেরিকে ১৩৩ রানে হারায় তারা। পরে বল হাতেও ২ উইকেট নেন অনুকূল। আইপিএলে কেকেআরে রয়েছেন তিনি। যে ফর্মে অনুকূল রয়েছেন, তাতে আগামী মরসুমে কলকাতার দলে নিয়মিত খেলতে দেখা যেতে পারে তাঁকে। সর শর গতি কমেনি। চতুর্িয়ে বোলারদের মম্ রেটিং দেয়। তার ম