বিশ্বকাপ ট্রফি জড়িয়ে হোটেলের বিছানায় জেমাইমা রদ্রিগেজ় (বাঁ দিকে) ও হরমনপ্রীত কৌর। ছবি: সমাজমাধ্যম।
স্বপ্নপূরণ হয়েছে। কিন্তু তা যেন এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না জেমাইমা রদ্রিগেজ়, স্মৃতি মন্ধানারা। রবিবার নবি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতে ট্রফি জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন জেমাইমা, মন্ধানারা। দেখে মনে হচ্ছে, ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিশ্বজয়ের ঘোর এখনও কাটেনি।
সোমবার সকালে নিজের ইনস্টাগ্রামে কয়েকটি ছবি দেন জেমাইমা। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি ও মন্ধানা ট্রফি নিয়ে হোটেলের ঘরে শুয়ে রয়েছেন। ক্যাপশনে জেমাইমা লেখেন, “গোটা বিশ্বকে শুভ সকাল।”
আরও একটি ছবি দেন জেমাইমা। সেখানে তাঁরা দু’জন ছাড়াও রয়েছেন অরুন্ধতী রেড্ডি ও রাধা যাদব। সেই ছবির ক্যাপশনে জেমাইমা লেখেন, “এখনও কি স্বপ্ন দেখছি?” বোঝা যাচ্ছে, বিশ্বজয়ের ঘোর কাটতে আরও কিছুটা সময় লাগবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের।
ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর উল্লাসে মাতেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। সেখানেও অভিনবত্ব নিয়ে আসেন জেমাইমা। গোটা দল যখন মঞ্চে ট্রফি হাতে উল্লাস করছে, তখন তিনি কিছুটা দূরে গিয়ে শুয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় নিজের ও গোটা দলের ছবি তোলেন। তার পর ট্রফি নিয়ে গোটা মাঠ প্রদক্ষিণ করে ভারতীয় দল। ক্রিকেটারদের সঙ্গে সেখানে ছিলেন সাপোর্ট স্টাফেরাও। এমনকি, ক্রিকেটারদের পরিবারও যোগ দেয় উৎসবে।
মাঠে তখন ছিলেন ভারতের তিন প্রাক্তন অধিনায়ক ঝুলন গোস্বামী, অঞ্জুম চোপড়া ও মিতালি রাজ। তাঁদেরও ডেকে নেন হরমনপ্রীত কৌরেরা। ২০০৫ ও ২০১৭ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে হারতে হয়েছিল মিতালি ও ঝুলনকে। ২০০৫ সালের দলে ছিলেন অঞ্জুমও। এত দিনের না পাওয়া ট্রফি অবশেষে হাতে তোলেন তাঁরা। খেলোয়াড়জীবনে না পারলেও খেলা ছাড়ার পর বিশ্বকাপ ট্রফি তোলার সুযোগ পেয়েছেন ঝুলনেরা। গোটা দলের সঙ্গে তাঁরাও উল্লাস করেন। হরমনপ্রীতদের মতোই আবেগ দেখা যাচ্ছিল ঝুলনদের মধ্যেও। বোঝা যাচ্ছিল, এই জয়ের গুরুত্ব ঠিক কতটা।