পাকিস্তান ক্রিকেট দল। —ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিল্ডিংয়ের মানের নিরিখে জঘন্যতম পাকিস্তান। এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে পাক ক্রিকেটের দুর্দশার এই চিত্র। ২০২৪ থেকে সব দলের ফিল্ডিং নিয়ে এক সমীক্ষা করা হয়েছে। তাতে পাকিস্তানের স্থান ৪১তম।
পাকিস্তান ক্রিকেটের সুদিন অতীত। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বলার মতো সাফল্য নেই গত কয়েক বছরে। ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ় হারতে হয়েছে বাংলাদেশের কাছেও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) একের পর এক প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হয়েছেন বাবর আজ়মেরা। ব্যাটারেরা রান করতে পারেননি। বোলারেরা উইকেট নিতে পারেননি। প্রত্যাশা অনুযায়ী ফিল্ডিংও করতে পারেননি পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা।
ক্রিকেট সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইটের সমীক্ষায় উঠে এসেছে পাকিস্তানের ফিল্ডিংয়ের বেহাল দশা। ২০২৪ সালের শুরু থেকে সব আন্তর্জাতিক ম্যাচ নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে। গত ২০ মাসে পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা ৪৮টি ক্যাচ ফেলেছেন। নষ্ট করেছেন ৯৮টি রান আউটের সুযোগ। তাঁরা ফিল্ডিংয়ে বল গলিয়েছেন ৮৯ বার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ৪১টি দেশের মধ্যে প্রথম দু’ক্ষেত্রে সকলের পিছনে পাকিস্তান। শুধু বল গলানোয় তারা শেষ দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সকলের পিছনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় (৯০)।
শতাংশের হিসাবে অবশ্য কিছুটা ভাল জায়গায় পাকিস্তান। গত ২০ মাসে ৮১.৪ শতাংশ ক্যাচ ধরেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা। টেস্ট খেলা দেশগুলির মধ্যে তারা আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে যুগ্ম ভাবে অষ্টম স্থানে রয়েছে। পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা অবশ্য খারাপ ফিল্ডিংয়ের অভিযোগ মানতে নারাজ। কিছু দিন আগে খারাপ ফিল্ডিং নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে মেজাজ হারিয়েছিলেন হ্যারিস রউফ। পাক জোরে বোলার বলেছিলেন, ‘‘মনে হয়, খেলাটা আপনি ঠিক করে দেখেননি। আমরা মোটেও খারাপ ফিল্ডিং করিনি। খুব বেশি ভুল হয়নি আমাদের। আপনি খেলাটা আবার দেখলে বুঝতে পারবেন। ভালই লাগবে।’’
পাক ক্রিকেটারেরা স্বীকার না করলেও পরিসংখ্যান তাঁদের পক্ষে নেই। চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজ়ে মঙ্গলবার আফগানিস্তানের কাছে ১৮ রানে হারতে হয়েছে সলমন আঘার দলকে।