টেস্ট, ওয়ান ডে, টি২০— তিন ফর্ম্যাটেই সমান সাবলীল বিরাট কোহালি। চলতি বছরে কাঁধের চোটের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি টেস্ট খেলতে পারেননি। তার আগে পর্যন্ত টানা ৫৪টি টেস্ট খেলেছেন তিনি।
২০০৪-এ অভিষেক। পরের বছর থেকেই ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ৯০টি ম্যাচের পর টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন। চোটের জন্য কখনও দীর্ঘ দিন মাঠের বাইরে থাকেননি মাহি।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন ম্যাকালাম তাঁর ১২ বছরের কেরিয়ারে ১০১টি টেস্টে খেলেছেন। কিন্তু, এক বারও চোটের জন্য ক্রিকেট থেকে দূরে থাকেননি তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৫৬টি টেস্ট খেলেছেন। আর তার মধ্যে ১৫৩টিই একটানা খেলার রেকর্ড রয়েছে অ্যালান বর্ডারের। তাঁর সময়ে ফিটনেস নিয়ে তেমন মাতামাতি না হলেও বড়সড় চোটের জন্য দল থেকে বাদ পড়েননি বর্ডার।
১২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে এক বারও চোটের জন্য দলের বাইরে যাননি প্রাক্তন অজি উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। একটানা ৯৬ টেস্ট খেলেছেন গিলি।
অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি পিচ হোক বা ভারতের স্লো পিচ— ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক সবেতেই সমান স্বচ্ছন্দে ব্যাট করেছেন। এখনও পর্যন্ত ১৪৭টি টেস্ট খেললেও বড়সড় কোনও চোটের জন্য দীর্ঘ দিন দলের বাইরে থাকতে হয়নি এই ওপেনারকে।
নিজের সময়ের অন্যতম সেরা ফিল্ডার মার্ক ওয় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১২৮টি টেস্ট খেলেছেন। ১৯৯৩-র পর থেকে একটানা ১০৭টি টেস্ট খেলেছেন এই ব্যাটসম্যান।
আট বছর ধরে একটানা ৭৯টি টেস্ট খেলে গিয়েছেন ‘মিস্টার ক্রিকেট’ মাইক হাসি।
ফাস্ট বোলার হিসেবে ১৬ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও মাত্র একটি টেস্ট খেলতে পারেননি কপিল দেব। সেটাও চোটের জন্য নয়, পারফরম্যান্সের জন্য দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি।
১৬ বছরের কেরিয়ারে চোটের জন্য দীর্ঘ সময়ের জন্য মাঠের বাইরে থেকেছেন এমনটা রাহুল দ্রাবিড়ের জীবনে ঘটেনি। এক সময় তো টানা ৯৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন দ্রাবিড়।