East Bengal vs Mohun Bagan

‘মোহনবাগানকে সমীহ করি, তবে আমরাই সেরা দল’, শিল্ড ফাইনালের আগে সবুজ-মেরুনকে হুঙ্কার ইস্টবেঙ্গলের

চলতি মরসুমে দু’টি ডার্বিতেই জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। শনিবার, আইএফএ শিল্ড ফাইনালে তৃতীয় ডার্বি হতে চলেছে। টানা তিনটি ডার্বি জিতে ইস্টবেঙ্গলের সামনে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ। তার আগে কী বলছে দল?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:০৩
Share:

ইস্টবেঙ্গলের অস্ত্র মহম্মদ রশিদ। ছবি: সমাজমাধ্যম।

চলতি মরসুমে দু’টি ডার্বিতেই জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে সিনিয়র দল জিতেছিল ২-১ গোলে। কলকাতা লিগে রিজ়ার্ভ দল জিতেছিল ৩-২ গোলে। শনিবার, আইএফএ শিল্ড ফাইনালে তৃতীয় ডার্বি হতে চলেছে। টানা তিনটি ডার্বি জিতে ইস্টবেঙ্গলের সামনে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ। ফাইনালের আগে মোহনবাগানকে হালকা হলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন ইস্টবেঙ্গলের সহকারি কোচ বিনো জর্জ। জানালেন, প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেও তাঁরা সেরা দল হিসাবেই নামবেন।

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরেই ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা দেওয়া ছিল মাঠ। কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। তবে শুক্রবার ম্যাচের আগের দিন প্রথম ১৫ মিনিট সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি মিলেছিল। সে টুকু সময়ে অস্কার ব্রু‌জ়োর কৌশলের কিছুই বোঝা যায়নি। ফিটনেস ট্রেনিং এবং পাসিং করতে দেখা গিয়েছে ফুটবলারদের। সূত্রের খবর, শনিবারের ম্যাচে মাঝমাঠ জমাট রাখতে চাইছেন ব্রুজ়‌ো। তার জন্য পাসিংই তাঁর অস্ত্র। মিগুয়েল এবং রশিদকে বেশি করে কাজে লাগাতে চান। গোল করার ভার দিতে চান হিরোশি ইবুসুকিকে, যাঁর ডার্বিতেই লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক হতে চলেছে।

সকালের অনুশীলনের পর বিকেলে বিভিন্ন বৈঠক থাকায় সাংবাদিক সম্মেলনে আসতে পারেননি অস্কার। বদলে বিনো এসেছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা প্রতিপক্ষকে সমীহ করছি। সবাই জানে ওরা শক্তিশালী দল। প্রতিটা বিভাগেই ভাল ফুটবলার রয়েছে। তবে দল হিসাবে ইস্টবেঙ্গলও অন্যতম সেরা। আমরা জানি এই প্রতিযোগিতার গুরুত্ব। ২৯ বার এই ট্রফি জিতেছি। ৩০ নম্বর জেতার জন্যই কাল মাঠে নামব। ভাল ম্যাচ খেলতে চাই। সকলেই জানে কালকের ম্যাচের গুরুত্ব।”

Advertisement

এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এ খেলতে না যাওয়ার কারণে মোহনবাগান সমর্থকেরা নিজেদের ক্লাবের প্রতি ক্ষুব্ধ। ম্যাচেও তাঁরা ক্লাব ম্যানেজমেন্ট এবং ফুটবলারদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। ইউনাইটেড ম্যাচে ঝামেলা হয়েছে পুলিশের সঙ্গেও। তবে সমর্থকদের বিক্ষোভের প্রভাব ফুটবলারদের উপরে পড়বে না বলেই মনে করেন বিনো। তাঁর কথায়, “আমি শুনেছি কিছু সমস্যার কথা। তবে মাঠে ১১ জনের বিরুদ্ধে ১১ জন খেলবে। ওরাও নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে থাকবে। ভাল ম্যাচই আশা করছি। আমাদের মনোযোগ শুধু ট্রফি জয়ে এবং নিজেদের পরিকল্পনা কাজে লাগানোয়।”

এ বছর ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছেন মিগুয়েল। মোহনবাগানে এসেছেন রবসন। দু’জনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলেছেন বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসে। শনিবার কি এই দুই ফুটবলারের মুখোমুখি লড়াই উত্তেজক হবে? বিনোর উত্তর, “ওরা বাংলাদেশে সতীর্থ ছিল। এখন একে অপরের বিরুদ্ধে। দু’জনেই দলকে জেতানোর জন্য খেলবে।”

ট্রফি জেতার দাবিদার কি ইস্টবেঙ্গলই? সরাসরি সেই উত্তর দেননি বিনো। তাঁর কথায়, “ডার্বি একটা আবেগের ম্যাচ দুটো দলের কাছেই। ডার্বিতে সব সময় ইস্টবেঙ্গল, মোহহনবাগান দু’দলই জিততে চায়। এ বছর ইস্টবেঙ্গল ভাল দল গড়েছে। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যেও আমরা ওদের পাল্লা দিতে তৈরি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement