Hard Vs Soft Luggage

‘হার্ড’, ‘সফ্‌ট’ দুই ধরনের লাগেজই সফরে জনপ্রিয়, কিন্তু আপনার জন্য কোনটি ভাল, বুঝবেন কী ভাবে?

কাজের জন্য সফর হোক বা ভ্রমণের জন্য, সঙ্গে জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য চাই উপযুক্ত ব্যাগ, স্যুটকেস। ‘হার্ড’, ‘সফ্‌ট’ দুই ধরনের লাগেজের মধ্যে কোনটি বেশি উপযোগী?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫ ১৬:৫৬
Share:

কোন ধরনের লাগেজের সফরের জন্য উপযুক্ত? ছবি: সংগৃহীত।

বেড়ানো হোক বা কাজের উদ্দেশ্যে কোথাও যাওয়া, জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য কারও পছন্দ রুকস্যাক, কারও আবার ট্রলি ব্যাগ বা স্যুটকেস। লোকজনের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সফর আরও সহজ করে তুলতে স্যুটকেসেও নানা রকম বদল এসেছে এবং আসছেও।

Advertisement

আগে চামড়ার স্যুটকেস নিয়ে যেতেন লোকে। আবার বেশ শক্তপোক্ত স্যুটকেসও ছিল যা ওজন একটু ভারী হলেও, ছুরি বা ব্লেড চালিয়ে কেটে ফেলার ভয় থাকত না। থাকত বড় বড় চেন টানা ব্যাগও। এখন স্যুটকেসে, ব্যাগে জুড়েছে চাকা। চাইলে স্যুটকেস বা ব্যাগ চেন টেনে বাড়িয়েও নেওয়া যায়। সব সময় হাতে বহনের দরকারও পড়ে না। বরং হাতল ধরে টান দিলেই কাজ হয়। সেখানেও রয়েছে দু’টি ধরন। ‘হার্ড’ এবং ‘সফ্‌ট’। এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি বেশি ভাল? কোনটি হতে পারে আপনার সফরের উপযুক্ত?

১। এমন কোনও জায়গায় যাচ্ছেন, যেখানে যখন-তখন বৃষ্টি নামতে পারে। সে ক্ষেত্রে ‘হার্ড’ লাগেজ ভাল। কারণ, এতে জল ভিতরে যাবে না। অন্য দিকে, ‘সফ্‌ট’ লাগেজ সাধারণত নাইলন, পলিয়েস্টারের হয়। ঝিরঝিরে বৃষ্টি তা সামাল দিতে পারলেও, মুষলধারে বৃষ্টি হলে, ভিতরের জিনিসপত্র ভিজে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বাইরে থেকে কোনও জল নিরোধী কভার বা ঢাকা দেওয়া যেতে পারে।

Advertisement

২। হার্ড স্যুটকেস বা লাগেজ সুরক্ষার জন্য ভাল। ল্যাপটপ বা দামি গ্যাজেট নিয়ে গেলে হার্ড বা শক্ত স্যুটকেস কাজে আসতে পারে। বিশেষত এবেড়ো-খেবড়ো বা উঁচু-নিচু রাস্তায় ঝাঁকুনি থেকে সুরক্ষা দিতে এটি কাজে আসে। সফ্‌ট লাগেজের সুবিধা হল, বিমানে বা ট্রেনের নীচে অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতার স্থানেও একটু চাপ দিয়ে সেটি ভরে দেওয়া যেতে পারে। এই নমনীয়তা হার্ড লাগেজে থাকে না।

৩। হার্ড লাগেজের সুবিধা হল, স্যুটকেসের ঢাকনাতেও জিনিসপত্র ভাগ করে নেওয়ার সুবিধা থাকে। ইলাস্টিকের ফিতে এবং ক্লিপের সাহায্যে জিনিসগুলি আটকে রাখা যায়। ফলে ঝাঁকুনিতেও মালপত্র এদিক-ওদিক হওয়ার ভয় থাকে না। তবে জিনিসপত্র দুই অংশে ভাগ করে নেওয়ার সুবিধা সফ্‌ট লাগেজে থাকে না। তবে এর সুবিধা হল, জিনিসপত্র বেড়ে গেলেও, নমনীয় ঢাকার জন্য চেপেচুপে অনেক কিছু ভরে দেওয়া যায়। চেন টেনে এই ধরনের লাগেজের আয়তন বাড়িয়ে নেওয়া যায়।

৪। আকারের জন্যই সুবিধা-অসুবিধা দুই-ই রয়েছে। যেমন বিমানবন্দরে বা ছোট কোনও জায়গায় লাগেজ খুলে সোয়েটার বা জিনিস নিতে হবে। সফট লাগেজে সেটা সহজ। কারণ এতে জিনিস রাখার একটি বড় জায়গা থাকে। চেন খুলে জিনিসটি বার করে নেওয়া যায়। কিন্তু এটি যদি হার্ড স্যুটকেস হয়, সোয়েটার বার করা তুলনামূলক ঝক্কির হতে পারে। কারণ, এতে দু’টি বিভাগ থাকে। স্যুটকেস খোলার জন্য বেশি জায়গার দরকার হয়। আবার যাঁরা জুতো বা স্নানের জিনিস পোশাকের চেয়ে আলাদা নিতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য হার্ড লাগেজ ভাল। তবে সফট লাগেজেও মূল জায়গার উপরে আলদা একটি অংশ থাকে আজকাল।

৫। সফ্‌ট লাগেজের বড় সুবিধা হল উপরের অংশে ছোট বড় চেন টানা পকেট থাকে। যেখানে টুকিটাকি জিনিস রাখার সুবিধা মেলে। সেই সুবিধা হার্ড লাগেজ বা স্যুটেকেসে পাওয়া যায় না।

৬। পলিকার্বনেটের ব্যবহারে তৈরি হার্ড লাগেজ মজবুত হয় আবার ওজনের খুব ভারী হয় না। তবে অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি হলে সেটি আরও বেশি শক্তপোক্ত হবে। অন্য দিকে, সফ্‌ট লাগেজ ব্যালিস্টিক নাইলন, পলিয়েস্টার দিয়ে তৈরি হয়। নমনীয়তার জন্য দুই উপাদানই ভাল। ওজনের দিক থেকেও সফট লাগেজ তুলনামূলক হালকা হয়।

দু’টি লাগেজেরই কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা আছে। কোথায় যাচ্ছেন, সঙ্গে কোন জিনিস থাকছে, তার উপর নির্ভর করবে কোনটি আপনার সফরের জন্য ভাল হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement