—প্রতীকী ছবি।
কথায় আছে শখের দাম লাখ টাকা। অদ্ভুত শখ মেটাতে লাখ নয়, কয়েক কোটি টাকা খরচ করতেও পিছপা হলেন না এক তরুণ। তরুণীর আত্মা কেনার জন্য পকেট থেকে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে এমনটাই দাবি করলেন ওই তরুণ। আত্মা কেনার জন্য তরুণীর সঙ্গে একটি চুক্তিও সম্পাদিত করেন। রক্ত দিয়ে লেখা সেই চুক্তিটি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ হতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। যুবকের কাণ্ড দেখে হতবাক হয়েছেন নেটাগরিকেরা।
সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে রাশিয়ার বাসিন্দা দিমিত্রি নামের ওই তরুণ ‘ভিকন্টাক্ট’ নামের রুশ সমাজমাধ্যমে মজা করে পোস্ট করেছিলেন যে তিনি ‘আত্মা’ কিনতে চান। তরুণের সেই পোস্টটিকে রসিকতা বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন অনেকেই। করিনা নামে এক তরুণী অপ্রত্যাশিত ভাবে দিমিত্রির এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের আত্মা বিক্রি করে তরুণী ৩৫ কোটি টাকা পেয়েছেন। করিনার সঙ্গে একটি চুক্তিও করেছেন রুশ তরুণ। রক্তে লেখা ওই চুক্তিতে দু’জনেই স্বাক্ষর করেছেন। দিমিত্রি সমাজমাধ্যমে সেই রক্তমাখা চুক্তির একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘আত্মা কেনার অভিজ্ঞতা আমার এই প্রথম। এই চুক্তিটি রক্তে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আমি ডেভি জোন্সের মতো অনুভব করছি।’’ উল্লেখ্য, ডেভি জোন্স হল বিদেশি রূপকথার একটি চরিত্র। যে সমুদ্রে মৃত নাবিকদের আত্মাকে বন্দি করে রাখত।
কয়েক কোটির গাঁটগচ্চা দিয়ে ‘আত্মার’ মালিক হয়েও শেষমেশ তা নিয়ে কী করবেন সে বিষয়ে এখনও ভেবে উঠতে পারেননি দিমিত্রি। স্বীকার করে নিয়েছেন নেহাত মজার ছলে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব যে কেউ গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করবেন তা ভাবতে পারেননি। করিনা জানিয়েছেন, সমালোচনা হলেও তাতে কান দিতে নারাজ তিনি। দিমিত্রির থেকে টাকা পেয়ে তিনি লাবুবু পুতুলের সেট ও কনসার্টের টিকিট কিনেছেন।
অদ্ভুত এই ঘটনাটি সমাজমাধ্যমে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত নেটাগরিকেরা। কেউ কেউ দিমিত্রির এই মনোভাবকে ‘শয়তানি প্রবণতা’ বলে উল্লেখ করেছেন। অন্যেরা এটিকে খ্যাতি পাওয়ার জন্য মিথ্যা প্রচারের অংশ বলে মনে করছেন।