ছবি: সংগৃহীত।
৫০০ টাকার একটি নোটের দর উঠতে পারে লক্ষ লক্ষ টাকা! মাত্র একটি ৫০০ টাকার নোটের জন্য মুদ্রা সংগ্রহকারীরা কয়েক লক্ষ টাকা দিতে প্রস্তুত। বিশেষ সংখ্যা সম্বলিত একটি নোট নিজের কাছে রাখতে বাড়তি কড়ি খসাতে আপত্তি নেই অনেকের। পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁরা সৌভাগ্য এবং দুর্ভাগ্যের সঙ্গে ছোট ছোট জিনিসকে জুড়ে নেন। এই ধরনের মানুষ সংখ্যাতত্ত্ব এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস করেন। তাঁরা ‘৭’ সংখ্যাটিকে শুভ বলে মনে করেন। এই সংখ্যাটি সৌভাগ্য এনে দিতে পারে বলে তাঁরা বিশ্বাস করেন। সে কারণে ধারাবাহিক ভাবে সাত সংখ্যা সম্বলিত নোটের কদর তাঁদের কাছে প্রচণ্ড।
এই ধারণাটি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয় যখন এক ব্যক্তি একটি ৫০০ টাকার নোটের ছবি প্রকাশ করেছেন। নোটে ছিল পর পর ছ’টি ‘৭’। পোস্টটিতে লেখা হয়েছিল, নোটটির ক্রমিক নম্বর ১ ডিএল ৭৭৭৭৭৭। ছোট থেকে বড় পর্যন্ত সাজানো রয়েছে ৭ সংখ্যাটি। ৭ সংখ্যাটি সৌভাগ্যের সংখ্যা হিসাবে বিবেচিত অনেকের কাছেই। যদি কারও কাছে ‘৭৭৭৭৭৭’, ‘৬৬৬৬৬৬’ বা ‘৯৯৯৯৯৯’ সিরিয়াল নম্বর-সহ ৫০০ টাকার নোট থাকে, তবে সেগুলি অত্যন্ত বিরল এবং ‘দামি’ নোট হিসাবে বিবেচিত হয়। কারণ এই জাতীয় নোট কিনতে মুদ্রা সংগ্রহকারীরা মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে রাজি থাকেন।
সংগ্রাহকেরা এই নোট কিনতে লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে পারেন। যদি কোনও নোটের সিরিয়াল নম্বর ১১১১১১১, ৭৭৭৭৭৭ বা ১২৩৪৫৬ এর মতো পুনরাবৃত্তিমূলক ক্রমে থাকে, তা হলে মুদ্রা সংগ্রহকারীদের জন্য এগুলি বিরল নোট এবং মূল্যও বেশি। নোট যত বিরল, তার দামও তত বেশি।
পোস্টদাতা লিখেছেন, ‘‘আমি এই বিরল ৫০০ টাকার নোটটি পেয়েছি। এই নোটের বিনিময়ে আমি কত টাকা আয় করতে পারি?’’ পোস্টটিতে ৭৫০টিরও বেশি মন্তব্য জমা পড়েছে। এক জন লিখেছেন, ‘‘এই নোটটি বিক্রি করে কয়েক লক্ষ টাকা পেতে পারেন।’’ ইতিমধ্যেই কয়েক জন ব্যবহারকারী এই ৫০০ টাকার নোটটি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।