Bizarre

চোরাই গয়না স্পর্শ করতেই ‘গা ছমছমে অনুভূতি’, চুরির ন’দিন পর সোনার হার ফেরত দিয়ে ক্ষমাও চেয়ে নিল চোর!

বাসে করে যাওয়ার সময় কেরলের কাপারমবাথের বাসিন্দা গীতার লকেটসমেত হারটি চুরি হয়ে যায়। সোনার হারটির আনুমানিক মূল্য ৩.৬৫ লক্ষ টাকা। মেলাপারাম্বু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৫ ০৭:১৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

চুরি করার ন’দিন পর সোনার হার ফেরত দিয়ে গেল চোর। সঙ্গে দিয়ে গেল বার্তাও। সেই চিঠিতে চুরির ভুল স্বীকার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিল চোরবাবাজি। কেরলের এক বৃদ্ধার সোনার হার ও লকেট চুরি করে সেটি বাড়ির বারান্দায় ফেরত দিয়ে গেল চোর। সেই চিঠিতে লেখা ছিল কেন এই হারটি সে ফিরিয়ে দিল। সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে কেরলের পারমবাথের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা স্বামীর সঙ্গে বাসে করে যাচ্ছিলেন। বৃদ্ধার নাম গীতা। তাঁর লকেটসমেত হারটি চুরি হয়ে যায়। সোনার হারটির আনুমানিক মূল্য ৩.৬৫ লক্ষ টাকা। মেলাপারাম্বু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।

Advertisement

অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে স্থানীয় হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপগুলিতে হারিয়ে যাওয়া সোনার হারের বিস্তারিত তথ্য প্রচার করা হয়। হারটি উদ্ধারের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি। তার কয়েক দিন পর দু’জনে বাড়ি থেকে বার হওয়ার সময় বারান্দায় সেই হারটি খুঁজে পান। সঙ্গে ছিল হাতে লেখা একটি চিরকুটও।

নাতিদীর্ঘ সেই চিঠিতে লেখা ছিল, ‘‘ন’দিন হয়ে গেল আমার কাছে এই হারটি রয়েছে। যখন আমি প্রথম এটি পেয়েছিলাম, তখন আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছিলাম। তবে, যখনই আমি এটি হাতে নিয়ে দেখতাম, তখনই আমি নেতিবাচক অনুভূতি অনুভব করতাম, এমনকি আমার হাতও কাঁপত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে আমি ভাবতাম, আমি এটি দিয়ে কী করব। তার পর, আমি সোনার হারটি সম্পর্কে একটি হোয়াট্‌সঅ্যাপ বার্তা পাই। তাতে লেখা ছিল এই অলঙ্কারটি বিবাহের চিহ্ন। সেই মুহূর্তে, আমি সিদ্ধান্ত নিই হারটি যাঁর, তাঁকে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। আমি এটি ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি আমার পরিচয় প্রকাশ করতে চাই না। এত দিন ধরে এটি আমার কাছে রাখার জন্য যে কষ্ট দিয়েছি তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’’ বিবাহের স্মারকটি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে মানসিক চাপে ছিলেন গীতা। তাঁর স্বামী ভি দামোদরন সংবাদমাধ্যমে জানান, হারের শোকে গীতা কয়েক দিন ধরে ঘুমোতে পারেননি। তিনি তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। তাতেও কোনও লাভ হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement