ছবি: সংগৃহীত।
রাস্তায় পড়ে থাকা পাথরকে ঘড়িতে রূপান্তরিত করল এক কিশোর। সেই ঘড়ি বিক্রি করেও ৫ হাজার টাকা রোজগারও করে ফেলল রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। সাধারণ একটি জিনিসকে শুধুমাত্র সৃজনশীলতা ব্যবহার করে অসাধারণ করে তোলা যায় তার প্রমাণ দিয়েছে ওই কিশোর। পাথরকে ঘড়িতে বদলে ফেলা ও তার বিক্রি, গোটা ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভাইরাল এই ভিডিয়োটি ঝড় তুলেছে নেটমাধ্যমে। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ইনস্টাগ্রামের ভাইরাল সেই ছোট্ট ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সামান্য পাথরকেই কী ভাবে মূল্যবান একটি পণ্যে পরিণত করা সম্ভব। ভিডিয়োর শুরুতে কিশোরকে বলতে শোনা যায়, পাথর থেকে কি অর্থ উপার্জন সম্ভব? এর পরই সে রাস্তার ধার থেকে একটি পাথর নিয়ে সেটিকে কাটার জন্য নিয়ে যায়। পাথরের পিছনে একটি বর্গক্ষেত্র কেটে এবং সামনে একটি গর্ত করে পাথরটিকে এমন আকার দেয় যাতে একটি ঘড়ির যন্ত্র লাগানো যায়। এর পর সে পাথরটি রং করে। রং শুকোনোর পরে, এটিকে পালিশ করা দামি পাথরের টুকরোর মতো জ্বলজ্বল করতে দেখা যায়। শেষে ঘড়ির যন্ত্রটি বসিয়ে দেওয়া হয় চৌকো করে কাটা অংশে।
পাথরের ঘড়িটি নিয়ে কিশোর দিল্লির জনবহুল এলাকা কনট প্লেসে হাজির হয়। কিশোরের হাতে অদ্ভুত ঘড়িটি দেখে পথচলতি জনতা কৌতূহলবশত এটি দেখার জন্য থমকে দাঁড়ায়। কিছু ক্ষণ পরে, বেশির ভাগ জনতাই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কারণ তাঁদের মনে হয়েছিল পণ্যটি নিখুঁত নয়।
কিশোরও বুঝতে পারে, যদি ঘড়িটিকে বিক্রি করতে হয় তা হলে সেটির চেহারা আরও দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে হবে। তাই ঘড়িটির ফাঁকা অংশটি সুন্দর করে ঢেকে দেয় সে। তার পর সেটিকে নিয়ে ফিরে আসে কনট প্লেসেই। এর পর আর নিরাশ হতে হয়নি তাকে। হঠাৎ করে এক ব্যক্তি এসে ঘড়িটির দাম জানতে চান। কিশোরটি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ৫ হাজার টাকা দর হেঁকে বসে। আশ্চর্যের বিষয় ক্রেতা রাজিও হয়ে যান। কড়কড়ে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ঘড়িটি কিনে নেন তিনি। কিশোরটি এমন একটি জিনিস থেকে ৪ হাজার ৫৪০ টাকা লাভ করে, যা তৈরি করতে খরচ পড়েছিল ৪৬০ টাকা।
ভিডিয়োটি ‘ডিলাক্সভাইয়াজি’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করার পর প্রায় সাড়ে ছ’কোটি বার দেখা হয়েছে। ৫২ লক্ষেরও বেশি লাইক জমা পড়েছে তাতে। কিশোরের হাতের কাজ দেখে নেটাগরিকেরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাকে। নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকেই জানিয়েছেন, কিশোরের তৈরি ঘড়িটি যে দামে বিক্রি হয়েছে তা তার সৃজনশীলতার মূল্য। আবার কেউ কেউ ক্রেতাকেও বাহবা দিয়ে লিখেছেন, যিনি সৃজনশীলতাকে মূল্য দিয়েছেন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা। এই ধরনের শিল্পকর্ম আরও বেশি পরিমাণে তৈরির করার জন্য কিশোরকে উৎসাহও জুগিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ।