Bizarre Incident

চার বছরে অন্তঃসত্ত্বা তিন বার! ‘আইনের ফাঁক’ খুঁজে পেয়ে জেলের সাজা এড়ালেন তরুণী, তার পরেই এল চমক

চিনা আইন অনুযায়ী, অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করানো মহিলাদের কারাদণ্ড স্থগিত থাকে। সাজা এড়াতে আইনের সেই ফাঁকটিকেই বেছে নিয়েছিলেন চেন। তবে সেই ঘটনায় নতুন মোড়ও এসেছে সম্প্রতি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৫ ১৫:৩০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

প্রতারণার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। জেলের সাজা থেকে বাঁচতে ৪ বছরে তিন বার সন্তানের জন্ম দিলেন তরুণী। অদ্ভুত সেই ঘটনাটি ঘটেছে চিনের শানসি প্রদেশে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই তরুণীর নাম চেন হং। ২০২০ সালে প্রতারণার অভিযোগে জেলের সাজা হয় তাঁর। কিন্তু সেই সাজা এড়াতে তিনি যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন, তা সকলকে অবাক করে দিয়েছে। জেলে যাওয়া থেকে বাঁচতে একই পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

চিনা আইন অনুযায়ী, অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করানো মহিলাদের কারাদণ্ড স্থগিত থাকে। সাজা এড়াতে আইনের সেই ফাঁকটিকেই বেছে নিয়েছিলেন চেন। তবে সেই ঘটনায় নতুন মোড়ও এসেছে সম্প্রতি। তদন্তকারীরা এখন জানতে পেরেছেন, তিন সন্তানকে জন্ম দেওয়ার পর তিন জনকেই ত্যাগ করেছেন তরুণী। ওই পুরুষের সঙ্গেও তিনি আর বসবাস করেন না।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চেন তৃতীয় সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর পরই তদন্তকারীরা সন্দেহ প্রকাশ করেন বিষয়টি নিয়ে। মে মাস থেকে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, জন্ম দেওয়া সন্তানদের কাউকেই নিজের কাছে রাখেননি চেন। নিজের পরিচয়ও দেননি। এর পরেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। চেন স্বীকার করেন, যে পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে তিনি সন্তানদের জন্ম গিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তাঁর। আর সে কারণেই তিনি ওই সন্তানদের নিজের কাছে রাখেননি।

Advertisement

চেন আরও জানান, প্রথম দুই সন্তান এখন তাঁর প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে থাকেন। তৃতীয় সন্তানকে তুলে দিয়েছেন বোনের হাতে। বিষয়টি তদন্ত করার পর কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, জেলের সাজা এড়াতেই বার বার গর্ভধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চেন। এই কারণে তাঁকে এখন কারাগারে পাঠানোর কথা ভাবছেন কর্তৃপক্ষ।

চেনের বিষয়টি সমাজমাধ্যমে হইচই ফেলেছে। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। আইনের ফাঁক খুঁজে সাজা এড়ানো নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement