—প্রতীকী ছবি।
কর্মজীবনের ব্যস্ততার মাঝে শরীরচর্চার জন্য কোনও রকমে সময় খুঁজে বার করতে পেরেছিলেন তরুণী। বাড়ির কাছে একটি জিমে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেই জিমের সদস্য শুধুমাত্র মহিলারা। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে যে কোনও সময়ে জিমে শরীরচর্চা করতে যাওয়া যেতে পারে।
অফিসের কাজ সামলে নিজের সময়মতো শরীরচর্চা করতে পারবেন বলেই সেই জিমে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক মাস পর সেই জিমের নিয়মকানুনের বদল হওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। মহিলা সদস্যদের বয়স বাড়লে সুবিধা কম পাওয়া যাবে সেই জিমে। মেল করে তরুণীকে জিমের তরফে এমনই জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি ব্রিটেনের একটি শরীরচর্চাকেন্দ্রে ঘটেছে। তরুণী জানিয়েছেন যে, অফিসের কাজ করে শরীরচর্চার জন্য আলাদা করে সময় বার করতে পারছিলেন না তিনি। আবার তিনি এমন জিমের সন্ধানে ছিলেন, যেখানে শুধুমাত্র মহিলা সদস্যেরাই শরীরচর্চা করবেন। খোঁজাখুঁজির পর মনের মতো একটি জিমের সন্ধানও পান তিনি। সপ্তাহে পাঁচ দিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে যখন খুশি জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করা যায় জানতে পেরে সেখানে ভর্তি হয়ে যান তরুণী।
সেখানে সব বয়সের মহিলারাই জিমে ভর্তি হতে পারতেন। কিন্তু মাস কয়েকের মধ্যে জিমের নিয়মকানুন গেল পাল্টে। তরুণীর দাবি, জিমের তরফে তাঁকে মেল করে জানানো হয়েছে যে, প্রতি সপ্তাহে সোমবার থেকে শুক্রবার বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মহিলা সদস্যদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। তবে যাঁদের বয়স কম, তাঁরাই সুবিধা পাবে বেশি। যে সদস্যদের বয়স ১২ বছর থেকে ২৪ বছরের মধ্যে, তাঁরাই শুধুমাত্র প্রতি সপ্তাহে পাঁচ দিন নির্ধারিত তিন ঘণ্টা জিমে যেতে পারবেন। ২৪ বছরের বেশি হলে সেই সময় জিমে যাওয়া যাবে না।
বিকেল ৪টের আগে শরীরচর্চা সেরে ফেলতে হবে ২৪ বছর বয়সি মহিলা সদস্যদের। এমন নিয়ম দেখে রেগে গিয়েছেন তরুণী। তাঁর বয়স ২৪ বছরের বেশি। অফিসের কাজ সামলে কোনও ভাবেই তিনি বিকেল ৪টের মধ্যে শরীরচর্চা করতে পারবেন না। তা নিয়ে সমাজমাধ্যমে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তিনি। এক জন নেটাগরিক সমর্থন করে লিখেছেন, ‘‘সব কিছুই ব্যবসা বাড়ানোর ফিকির। বিকেলের পর থেকে জিমে ভিড় বাড়ানোর জন্য এ সব নিয়ম চালু করা হচ্ছে।’’