—প্রতীকী ছবি।
উচ্চপদের দায়িত্ব সামলানোর জন্য এক তরুণকে চাকরি দিয়েছিল সংস্থা। কিন্তু চাকরি দেওয়ার সাত দিনের মাথায় সেই চাকরি কেড়েও নিল সংস্থা। অফিসে সকলের সামনে এক অধস্তন কর্মীকে অপমান করেছিলেন সেই তরুণ। সহকর্মীর সঙ্গে এমন আচরণ করা যে একেবারেই অশোভনীয় তা তরুণকে জানায় সংস্থা। শুধু তা-ই নয়। শাস্তি হিসাবে তরুণের চাকরিও কেড়ে নেওয়া হয়। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এই ঘটনার উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন সেই সংস্থার মালিক (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘যতীন সাইনি’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে লিঙ্কডইনের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। গোয়ার এক স্টার্টআপ সংস্থার মালিক যতীন। তিনি জানান, সংস্থার উচ্চপদের দায়িত্ব সামলানোর জন্য এক তরুণকে চাকরি দেওয়া হয়। সপ্তাহের প্রথম দিন অফিসে যোগ দেন সেই নবাগত ঊর্ধ্বতন। সংস্থার কাজকর্ম কত দূর এগিয়েছে তা আলোচনার জন্য অফিসের সকল কর্মী একটি মিটিং করছিলেন। সেই মিটিংয়ে উপস্থিত এক অধস্তন কর্মীর সঙ্গে খারাপ ভাবে কথা বলেন ওই ঊর্ধ্বতন।
যতীনের দাবি, জুনিয়র সহকর্মীকে উদ্দেশ করে সেই তরুণ বলেন, ‘‘বুদ্ধি-সুদ্ধি সব বাড়িতে ফেলে এসেছ নাকি? যদি এটাই তোমার সেরা কাজ হয়, তা হলে অন্য চাকরি খোঁজা শুরু করো। পরের দিন মগজ নিয়ে অফিসে এসো। না হলে আর এ তল্লাটে আসার প্রয়োজন নেই।’’ সকলের সামনে ঊর্ধ্বতনের কাছ থেকে এমন আচরণ পেয়ে খুব আঘাত পেয়েছিলেন অধস্তন কর্মী।
ছবি: সংগৃহীত।
ঘটনাটি সংস্থার অধিকর্তাদের নজরে পড়ায় সেই ঊর্ধ্বতনকে ডেকে বোঝানো হয়। সংস্থার তরফে জানানো হয়, কোনও সহকর্মীর সঙ্গে এমন ব্যবহার করা অনুচিত। ঊর্ধ্বতনেরা কাজ নিয়ে তাঁদের অধস্তনকে বকাবকি করতেই পারেন। কিন্তু তাঁদের অপমান করা উচিত নয়। এমনকি, সপ্তাহের শেষে এমন ব্যবহার করলে সেই অধস্তন যে সপ্তাহান্তের ছুটিও ভাল করে উপভোগ করতে পারবেন না, তাও জানানো হয়।
সংস্থার অধিকর্তাদের কথা শুনে সেই তরুণ আবার পাল্টা যুক্তি দেন। তরুণের মতে, ‘‘এমন ব্যবহার না করলে অধস্তনেরা কোনও দিন কাজ শিখবে না। সকলে মিলে ভাল কাজ করা যাবে না।’’ সদ্য চাকরিতে যোগ দেওয়া তরুণের মুখে এই কথা শুনে অবাক হয়ে যান সংস্থার অধিকর্তারা। বাধ্য হয়ে তাঁকে চাকরি থেকে সংস্থার তরফে সরিয়ে দেওয়া হয়।