Bizarre

থাকতে পারছেন না, বিক্রি করতেও পারছেন না, ১৪ কোটির প্রাসাদ পরিণত হল দম্পতির দুঃস্বপ্নে! কেন?

১৯৭১ সালে মাত্র ৯,০০০ পাউন্ড (বর্তমানে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০.৫ লক্ষ টাকা) খরচ করে ব্রিটেনের ওয়েলসে বাড়িটি কিনেছিলেন চার্লস এবং প্যাট্রিসিয়া। ১৬৯০ সালের দিকে নির্মিত সেই প্রাসাদে ২০টি কামরা রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৫ ০৭:৫৫
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

ভাল জায়গায় ঝাঁ-চকচকে বাড়িতে থাকার স্বপ্ন দেখেননি, পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু সেই স্বপ্নই দুঃস্বপ্ন হয়ে গেলে? ১৪ কোটি টাকার প্রাসাদোপম বাড়িই মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে ব্রিটেনের ফ্যাশন ডিজ়াইনার দম্পতি চার্লস এবং প্যাট্রিসিয়া লেস্টারের জন্য। বাড়ি বিক্রিও করতে পারছেন না তাঁরা। খরিদ্দারদের বাড়ি পছন্দ হলেও এক বিশেষ কারণে শেষমেশ আর সেই বাড়ি কিনছেন না তাঁরা। কিন্তু কী সেই কারণ?

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে মাত্র ৯,০০০ পাউন্ড (বর্তমানে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০.৫ লক্ষ টাকা) খরচ করে ব্রিটেনের ওয়েলসে ওই বাড়ি কিনেছিলেন চার্লস এবং প্যাট্রিসিয়া। ১৬৯০ সালের দিকে নির্মিত সেই প্রাসাদে ২০টি কামরা রয়েছে। দক্ষিণ অ্যাবার্গাভেনির সেই বাড়ি মনমাউথশায়ার এবং ব্রেকন খালের একদম সামনে অবস্থিত। বর্তমানে সেই বাড়ির মূল্য ১২ লক্ষ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় ১৪ কোটি টাকারও বেশি)। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও বাড়িটি বিক্রি করতে পারছেন না তাঁরা। কারণ, ওই ব্রেকন খাল।

খাড়াই ঢালের উপরে তৈরি চার্লস এবং প্যাট্রিসিয়ার সেই বাড়ির ঠিক নীচে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ব্রেকন খাল। আর ওই খালের কারণে মাঝেমধ্যেই ভূমিধস নামে। বাড়ি লাগোয়া জমিও একাধিক বার ধসের কবলে পড়েছে। আর সে কারণেই ওই বাড়ি কিনতে চাইছেন না কেউ। ফ্যাশন ডিজ়াইনার দম্পতি নিজেরাও ওই বাড়িতে থাকতে পারছেন না ভয়ে।

Advertisement

ওয়েলস অনলাইনের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বছরের পর বছর ধরে ওই এলাকায় একাধিক ভয়াবহ বন্যা এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭৫ এবং ২০১৪ সালে। ৮৩ এবং ৮২ বছর বয়সি চার্লস এবং প্যাট্রিসিয়া জানিয়েছেন, ওই বাড়ি ভূমিধসের ঝুঁকির মুখে থাকার কারণে উদ্বিগ্ন থাকেন তাঁরা। এর প্রভাব তাঁদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপরও পড়েছে। প্যাট্রিসিয়ার কথায়, ‘‘আমি ঠিকমতো ঘুমোতে পারি না। রাতে যদি ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে! ভয় সব সময়ই থাকে। মানসিক চাপ এতটাই প্রবল হয়ে উঠেছে যে, মনে হচ্ছে প্রাণ যেতে পারে আমার।” চার্লস জানিয়েছেন, বিগত এক দশক ধরে ওই বাড়িটি বিক্রির চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিন্তু কোনও খরিদ্দার পাননি। তাঁরা বাড়ি অনেক কম দামে বিক্রি করে দিতে চাইলেও কেউ কিনতে রাজি হননি। এক সময় শখ করে কেনা বাড়িই এখন মানসিক এবং আর্থিক বোঝার কারণ হয়ে উঠছে বৃদ্ধ দম্পতির কাছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement