—প্রতীকী ছবি।
মৃত্যুর পরের অভিজ্ঞতা কেমন? সেখানেও কি আছে অন্য কোনও জগৎ! যুগ যুগ ধরে মনোজগতের অন্ধিসন্ধি নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন তাঁরা সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন। মৃত্যুর পরের সেই জগতের অস্তিত্ব নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। যখন হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায় এবং শরীর স্থির হয়ে যায় তখন কী হয়? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও সঠিক ভাবে জানা যায়নি। মৃত্যুর পর কী হয়, সেই ‘অভিজ্ঞতা’ ভাগ করে নিয়েছেন এক জন নার্স। জানিয়েছেন, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ‘মৃত্যু’র পর কী ভাবে আবার বেঁচে উঠেছিলেন তিনি। কী ভাবেই বা মৃত্যুর ওপারে গিয়ে মৃত মায়ের থেকে দেখা করে এসেছিলেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কানা়ডার বাসিন্দা ওই নার্সের নাম জুলিয়া ইভান্স। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে তাঁর ‘মৃত্যু-পরবর্তী’ অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন তিনি। জুলিয়ার দাবি, ২০১৮ সালে লিলি ফুল থেকে অ্যালার্জি হয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে নাকি ‘মৃত্যু’ও হয়েছিল তাঁর। পরে আবার বেঁচে উঠেছিলেন অলৌকিক ভাবে। সেই সময়েই মৃত্যুর পরবর্তী জীবন কেমন হয়, তা জানতে পেরেছিলেন তিনি। জুলিয়া নাকি দেখা করে এসেছিলেন মৃতা মায়ের সঙ্গেও।
পডকাস্টে জুলিয়া দাবি করেছেন, ২০১৮ এক বার একটি লিলির তোড়ার ঘ্রাণ নিয়ে অ্যালার্জি হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। চিকিৎসক তাঁকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তিনি নাকি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। ‘মৃত্যু’ও হয় তাঁর। জুলিয়ার দাবি, সেই সময় তিনি মৃত্যু পরবর্তী অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন। কথাও বলেছিলেন ১৯৮৩ সালে মস্তিষ্কের রোগে মৃত্যু হওয়া মায়ের আত্মার সঙ্গে। তাঁর মা নাকি তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘সব ঠিক হয়ে যাবে সোনা। মা এসে গিয়েছে।’’ তবে এর কিছু ক্ষণ পর আবার নাকি জুলিয়ার আত্মা দেহে ফিরে আসে। অন্তত তেমনটাই দাবি করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে ইতিমধ্যেই ‘দ্য লিলি নার্স’ নামে একটি বই লিখেছেন জুলিয়া। পডকাস্টের মাধ্যমে তাঁর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর হইচই পড়েছে নেটপাড়ায়।