Bizarre

৬ বছর ধরে ‘সন্তানের মতো’ যত্ন শয্যাশায়ী স্বামীকে! সুস্থ হয়ে সেই স্ত্রীকেই ছেড়ে আবার বিয়ে যুবকের

সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৬ সালে বিয়ে হয়েছিল নুরুল সায়াজওয়ানি নামে তরুণীর। বিয়ের পর কর্মসূত্রে মাঝেমধ্যেই আলাদা থাকতে হত তাঁদের। এক সন্তানও হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৫ ১৭:৩৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ছ’বছর ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। স্ত্রী যত্ন নিয়েছিলেন ‘সন্তানের মতো’ করে। তবে সুস্থ হয়ে উঠে সেই স্ত্রীকেই ছেড়ে দিলেন যুবক। বিবাহবিচ্ছেদের এক সপ্তাহের মধ্যে আবার বিয়েও করেন। ঘটনাটি ঘটেছে মালয়েশিয়ায়। ঘটনাটি সমাজমাধ্যমে জানাজানি হতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। ওই যুবকের নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটাগরিকেরা।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৬ সালে বিয়ে হয়েছিল নুরুল সায়াজওয়ানি নামে তরুণীর। বিয়ের পর কর্মসূত্রে মাঝেমধ্যেই আলাদা থাকতে হত তাঁদের। এক সন্তানও হয়। কিন্তু বিয়ের দু’বছরের মাথায় গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন নুরুলের স্বামী। এর পর টানা ছ’বছর স্বামীর সেবাযত্ন করেন নুরুল। ‘সন্তানের মতো’ স্বামীর দেখভাল করতেন তিনি। স্বামীকে খাওয়ানো, স্নান করানো থেকে ডায়পার বদলানো— সব নিজে হাতে করতেন নুরুল। কিন্তু সুস্থ হয়ে ওঠার পরেই ‘রং’ বদলান নুরুলের স্বামী। ২০২৪ সালের ৬ অক্টোবর নুরুলের থেকে বিচ্ছেদ নেন তিনি। সেই বিচ্ছেদের এক সপ্তাহ পরে নতুন এক জনকে বিয়েও করেন।

সম্প্রতি সেই বিষয়টি সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন নুরুল। প্রাক্তন স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের ছবি পোস্ট করে তাঁকে শুভকামনা জানান তিনি। পোস্টে লিখেছেন, ‘‘আমার ‘স্বামী’কে অভিনন্দন। আশা করি তুমি যাকে বেছে নিয়েছ তার সঙ্গে তুমি সুখে আছ। আশা করি সে-ও আমার মতোই তোমার যত্ন নেবে। আমার কাজ শেষ হয়েছে।’’

Advertisement

পোস্টটি ভাইরাল হতেই সমাজমাধ্যমে হইচই পড়ে। স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য নেটাগরিকদের সমালোচনার মুখে পড়েন নুরুলের স্বামী। তাঁকে বেইমান তকমা দেন অনেকে। এক নেটাগরিক লেখেন, ‘‘মানুষ এত অকৃতজ্ঞ কী করে হতে পারে! নতুন স্ত্রীকেও অন্য কারও জন্য ঠিক ছেড়ে দেবে।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘আমি চাই যে নুরুলও জীবনে ভাল কাউকে খুঁজে পান আর তিনি যেন তাঁর প্রাক্তন স্বামীর মতো বিষাক্ত না হন।’’ বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক মাথাাচাড়া দিতেই সেই পোস্ট সরিয়ে দেন নুরুল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement