ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
খাবার ডেলিভারির করার জন্য ডাক পড়েছিল তাঁর। রেস্তরাঁয় ঢুকে দেখলেন যে, একটি টেবিলে তাঁর পুত্র বসে রয়েছেন প্রেমিকাকে নিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে চক্ষুলজ্জার খাতিরে নিজেকে খানিকটা আড়াল করে নিলেন ডেলিভারি কর্মী। বাবাকে রেস্তরাঁয় দেখতে পেয়ে তরুণ কী করবেন তা ঠাহর করতে পারছিলেন না। তাঁর বাবাই ইশারা করে তরুণকে চুপচাপ প্রেমিকার সঙ্গে বসে থাকার নির্দেশ দিলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা!
বাবার নির্দেশ অমান্য করে তাঁকে প্রেমিকার সামনে হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলেন তরুণ। বাবাকে জড়িয়ে ধরে প্রেমিকার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলেন তিনি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘মেন্ডিংক্লাউড্স’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, প্রেমিকার সঙ্গে রেস্তরাঁয় বসেছিলেন এক তরুণ। রেস্তরাঁয় প্রবেশ করা এক ডেলিভারি কর্মীকে দেখে জড়িয়ে ধরে প্রেমিকার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলেন তিনি। ওই ডেলিভারি কর্মী আসলে তরুণের পিতা।
খাবারের প্যাকেট সংগ্রহ করে ডেলিভারি করতে যাবেন বলে রেস্তরাঁয় প্রবেশ করেছিলেন তিনি। ডেলিভারি কর্মী জানতেন না যে, তাঁর পুত্র সেই রেস্তরাঁয় প্রেমিকাকে নিয়ে যাবেন। পুত্রকে রেস্তরাঁয় বসে থাকতে দেখে নিজেকে খানিকটা আড়াল করার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয় না। বাবাকে দেখে ফেলেন তরুণ। বাবার সঙ্গে কথা বলার জন্য আসন ছেড়ে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তরুণ।
কিন্তু ইশারা করে বারণ করে দেন ডেলিভারি কর্মী। তিনি যে ডেলিভারি করে রোজগার করেন তা দেখার পর যদি পুত্রের সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়ে— সেই ভয়ে খাবারের প্যাকেট নিয়ে সেখান থেকে তাড়াতাড়ি চলে যেতে চাইছিলেন ডেলিভারি কর্মী। কিন্তু তরুণ গিয়ে তাঁর বাবার হাত ধরে টেনে আনেন।
প্রেমিকার সামনে বাবাকে জড়িয়ে ধরে দু’জনের আলাপ করিয়ে দেন তরুণ। তরুণীও আনন্দে তাঁর প্রেমিকের বাবার সঙ্গে পরিচয়পর্ব সারেন। ঘটনাটি কবে এবং কোথায় ঘটেছে তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে ভিডিয়োটি দেখে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটাগরিকদের অধিকাংশ। এক জন নেটব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘তরুণ একদম উচিত কাজ করেছেন। বাবার প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা দেখে মন ভরে গেল।’’