viral video

অসুস্থ চিতাবাঘের গলায় দড়ি বেঁধে গোটা গ্রাম ঘোরালেন বাসিন্দারা! ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড়

রাজস্থানের বুঁদীর রামগড় বিসধারী অভয়ারণ্যে একটি চিতাবাঘের গলায় দড়ি পরিয়ে গ্রামে ঘোরালেন বাসিন্দারা। চিতাবাঘটি অসুস্থ ও দুর্বল হয়ে পড়েছিল। অসুস্থ চিতাবাঘটি ভয় পেয়ে নড়াচড়া পর্যন্ত করতে পারছিল না।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫ ১০:৫৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

রাজস্থানে একটি অসুস্থ চিতাবাঘকে গলায় ওড়না বেঁধে রাস্তায় ঘোরানোর অভিযোগ উঠল কয়েক জন গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। হাতে লাঠি নিয়ে ওড়নাটিকে দড়ির মতো করে ধরে পেঁচিয়ে চিতাবাঘটিকে ঘোরাতে শুরু করেন। গ্রামের লোকজন লাঠি এবং মোবাইল হাতে নিয়ে চিতাবাঘের চারপাশে জড়ো হন এবং অসুস্থ প্রাণীটির সঙ্গে নিজস্বী তুলতে শুরু করেন। সেই দৃশ্যটি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের বুঁদীর রামগড় বিসধারী অভয়ারণ্যে। অসুস্থ চিতাবাঘটি ভয় পেয়ে নড়াচড়া করতে পারছিল না। ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, অসুস্থ ও আহত চিতাবাঘটির উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন কয়েক জন গ্রামবাসী। চিতাবাঘটি বৃষ্টিতে ভিজে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। চিতাবাঘটি একটি গাছের কাছে বসে ছিল, নড়াচড়া করতে পারছিল না। সেই দেখে সাহস করে চিতাবাঘটির কাছে এগিয়ে গিয়ে গলায় ফাঁস আটকে দেওয়া হয়। বন্যপ্রাণীটি এতটাই অসহায় হয়ে পড়েছিল যে নড়াচড়া করার শক্তিটুকু পর্যন্ত ছিল না সেটির। চিতাবাঘটি ভয় পেলেও আক্রমণ করেনি কাউকেই। সেই সুযোগে তাকে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গোটা গ্রাম ঘুরিয়ে আনা হয়। যথেচ্ছ ছবি ও ভিডিয়ো তোলা হয় চিতাবাঘটির সঙ্গে। চিতাবাঘটি একেবারে শান্ত ভাবে মুখ বুজে সমস্ত অত্যাচার সহ্য করছিল। এক বারও গর্জন করেনি বা কারও উপর ঝাঁপিয়ে পড়েনি। পরে খবর পেয়ে বনবিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর এটিকে কোটা চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

‘নির্মলতিওয়ারিবিকেআই’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে নির্মল তিওয়ারি নামের এক ব্যক্তি ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকেরা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংগঠনের সদস্য ক্ষোভে ফুঁসছেন। অসুস্থ চিতাবাঘের সঙ্গে এই ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ এবং নিজস্বী তোলার ঘটনা উদ্বেগ এবং সমালোচনা উভয়েরই জন্ম দিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement