—প্রতীকী ছবি।
পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা খ্যাতি পাওয়ার জন্য সীমা অতিক্রম করে ফেলেন। সেই রকমই এক জন হল স্পেনের মায়োরকার বাসিন্দা তথা নেটপ্রভাবী ভিয়েনা ওয়ার্স্টেল। ভিয়েনা তাঁর অস্বাভাবিক বড় আকারের ঠোঁট আরও বড় করার অদম্য ইচ্ছা প্রকাশ করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন। ঝড় তুলেছেন নেটমাধ্যমে।
নেটপ্রভাবী ভিয়েনার দাবি, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঠোঁট তাঁরই। অস্বাভাবিক বড় ঠোঁটের অধিকারিণী ভিয়েনাকে নিয়ে এমনিতেই সমাজমাধ্যম গরম থাকে। কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। অনেকে তাঁর ঠোঁটকে ‘মোমো’র সঙ্গে তুলনা করেন। তবে সে সব কটাক্ষে পাত্তা না দিয়ে এ বার সেই ঠোঁট আকারে আরও বড় করার ইচ্ছা জাহির করেছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভিয়েনা বলেন, ‘‘আমি এখানেই থামব না। আমি আরও বড় ঠোঁটের মালকিন হতে চাই।’’
ভিয়েনার ঠোঁট জন্ম থেকেই বড় ছিল না। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ঠোঁটের আকার নিজের মতো গড়ে নিয়েছেন তিনি। ১৮ বছর বয়সে তিনি প্রথম ‘কসমেটিক সার্জারি’ করান। তার পর থেকে, ওই ধরনের শল্যচিকিৎসার জন্য ভিয়েনা প্রায় ১.৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন বলে জানা গিয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা শুধু ঠোঁটের অস্ত্রোপচারের জন্য খরচ করেছেন।
ঠোঁটের আকার বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের অন্য অঙ্গেরও আকার বাড়িয়েছেন ভিয়েনা। নেটপ্রভাবী দাবি করেন, তাঁর শরীরে এখন ‘মেদের চেয়ে প্লাস্টিক বেশি’ রয়েছে। নিজের ‘রূপ’ ধরে রাখার জন্য কয়েক সপ্তাহ অন্তর চিকিৎসকদের কাছে যেতে হয় তাঁকে।
যাই হোক, ভাইরাল হওয়ার পাশাপাশি নিজের শরীর নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য বার বার তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে ভিয়েনাকে। শুনতে হয়েছে অনেকে উপহাস এবং কটাক্ষ। নেটাগরিকদের অনেকেই তাঁর চেহারাকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে এ সব নিয়ে তাঁর কোনও অনুশোচনা নেয় বলে স্পষ্ট করেছেন ভিয়েনা। যদিও স্বীকার করে নিয়েছেন, বড় ঠোঁটের জন্য তাঁর খেতে এবং কথা বলতে অসুবিধা হয়। এমনকি, নিশ্বাস নিতেও অসুবিধা হয় মাঝেমধ্যে। তবে এর মধ্যেই তিনি তাঁর ঠোঁট আরও বড় করতে চান বলে জানিয়েছেন নেটপ্রভাবী।