—প্রতীকী ছবি।
আবার পুরনো সম্পর্কে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজি হননি প্রাক্তন প্রেমিকা। তাই রেগে গিয়ে সেই প্রাক্তন প্রেমিকার বাড়িতে গ্রেনেড ছুড়েছিলেন। সেই বিস্ফোরণে নিহত হলেন প্রেমিক নিজেই। অক্ষত রইলেন প্রাক্তন প্রেমিকা। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৫ মে চাঞ্চল্যকর সেই ঘটনাটি ঘটেছে তাইল্যান্ডে। গ্রেনেডের বিস্ফোরণে নিহত ওই যুবকের নাম সুরাপং থংনাক (৩৫)। সেই ঘটনায় আরও চার জন আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে হইচই পড়েছে।
সংবাদমাধ্যম ‘ব্যাঙ্কক পোস্ট’-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি তাইল্যান্ডের থা চানা জেলায় ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বিচ্ছেদের কিছু দিন পর পুনর্মিলনের আশায় প্রাক্তন প্রেমিকার বাড়ি গিয়েছিলেন সুরাপং। কিন্তু তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা তাঁর প্রস্তাবে রাজি হননি। এর পর সুরাপং রেগে যান। ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেন প্রাক্তন প্রেমিকাকে। কিন্তু তাঁর চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়েরা চলে আসেন।
অভিযোগ, এর পর গাড়ি থেকে একটি ‘এম২৬ ফ্র্যাগমেন্টেশন’ গ্রেনেড নিয়ে আসেন সুরাপং। গ্রেনেডের পিন টেনে প্রেমিকার বাড়ির দিকে ছু়ড়ে মারেন সেটি। কিন্তু গ্রেনেডটি তখন ফাটেনি। সেটি মাটি থেকে তুলে আবার ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন সুরাপং। তখন তাঁর হাতেই বিস্ফোরণ ঘটে যায়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ছিটকে যান সুরাপং। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। জনা চারেক স্থানীয়ও আহত হন। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে সুরাপংয়ের প্রাক্তন প্রেমিকা অক্ষতই ছিলেন। উদ্ধারকারীরা এসে সুরাপঙের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য থা চানা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে মাদক সংক্রান্ত অপরাধের জন্য জেল খেটেছিলেন সুরাপং।