ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
বরফাবৃত পর্বতের কোলে রয়েছে ছবির মতো গ্রাম। ঠিক ক্যালেন্ডারের পাতায় যে ধরনের গ্রামের ছবি দেখা যায়। কিন্তু ভয়াবহ ভূমিধসের তলায় সেই গ্রাম পরিণত হল ধ্বংসস্তূপে। আল্পস পর্বতমালার কোলে সুইৎজ়ারল্যান্ডের ভ্যালাইস ক্যান্টনের ছোট একটি গ্রাম ব্লাটেন। বুধবার পর্বতচূড়া থেকে হিমবাহ ভেঙে পড়ার ফলে গ্রামের ৯০ শতাংশ ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায়। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই ভয় ধরানো একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘দ্য কিউরিয়াস কুইল’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, বরফাবৃত পর্বতের গা ঘেঁষে ভেঙে পড়ছে একটি হিমবাহ। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে ফেলে। পর্বতের গা ঘেঁষে নামতে নামতে তার পরিসর আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। দ্রুত গতিতে নীচে নামার ফলে হিমবাহের সঙ্গে মিশে যায় কাদামাটিও। মাটি কেঁপে উঠে চারদিকে ধোঁয়ায় ভরে যায়। ভূমিধসের ফলে লোঞ্জা নদীর তলদেশও চাপা পড়ে যায়, যার ফলে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা দুর্ঘটনার পূর্বাভাস দেওয়ায় আগে থেকেই গ্রামবাসীদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ফলে এই ঘটনায় কারও প্রাণহানি হয়নি। তবে ভূমিধসের ফলে আনুমানিক ৯০ লক্ষ মেট্রিক টন ধ্বংসাবশেষ গ্রামটিকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে। তা পুনরুদ্ধারে কয়েক বছর সময় লাগবে বলে আশা করছেন স্থানীয়দের অধিকাংশ। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দাদেরও নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে গোয়েন্দা কুকুর এবং থার্মাল ড্রোন দিয়ে অনুসন্ধানের কাজ আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তাদের মতে, ধ্বংসাবশেষের ঢিবিগুলি আপাতত খুব অস্থির হয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনুসন্ধান চালানো বিপজ্জনক হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই অঞ্চলে হিমবাহ গলার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন হিমবাহবিদেরা, যা এই ধরনের দুর্যোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়েছে।