ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
বাড়ির সামনে স্তূপাকার জিনিসপত্র। তাতে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। দোতলা বাড়ির জানলা ও দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসছে লেলিহান শিখা। গলগল করে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া। চেয়ার, সোফা, আসবাব, তৈজসপত্র ছুড়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে গনগনে আগুনে। অথচ দু’দিন আগেও এই বাড়িতে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা যেত না। মঙ্গলবার নেপালের সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সেই বাসভবনে ঢুকে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় ধরা পড়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। ভিতর থেকে আসবাব ও জিনিসপত্র তুলে এনে বাড়িটির সামনে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে জনতা। দোতলা বাড়িটির প্রতিটি ঘরে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে। আগুনের তাপে খসে পড়ছে জানলা, দরজা ও বাড়ির অংশ। সাদা রঙের দোতলা বাড়িটি আগুনে পুড়ে বিধ্বস্ত। নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্রের পৌড়েলের বাসভবন শীতল আবাসেও হামলা করেন বিক্ষোভকারীরা।
ভিডিয়োটি ‘বালা’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করার পর প্রায় ৭ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। সমাজমাধ্যমের উপর নেপাল সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরই অশান্তির আগুন ছড়াতে শুরু করে ভারতের পড়শি দেশে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ অন্য চেহারা নেয় মঙ্গলবার। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগও আগুন থামাতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী ওলির ইস্তফার পর বর্তমানে নেপালের দায়িত্বে রয়েছে সেনা।