ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
দু’মাস বয়সি অসুস্থ একটি শিশুকে গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জেকশন দিতে গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে হবে। আর তার জন্য পেরোতে হবে নদী, যে নদীর উপরের সাঁকো জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে কয়েক দিন আগে। নদী এখনও ফুঁসছে। কিন্তু দায়িত্ব পালন করতে প্রাণ হাতে নিয়ে সেই নদী পেরোলেন এক নার্স। হয়ে উঠলেন সাহসিকতার প্রতীক। ঘটনাটি ঘটেছে হিমাচলপ্রদেশের মন্ডী জেলার সুধার পঞ্চায়েতের চৌহরঘাটিতে। ওই নার্সের দুর্গম নদী পেরোনোর একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি খরস্রোতা নদীর ধারে পাথরের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক মহিলা। নদী ফুঁসছে। প্রবল বেগে বয়ে যাচ্ছে জল। আর সেই নদীই পেরোনোর চেষ্টা করছেন ওই মহিলা। এর পর সাহসে ভর করে নদীতে নেমে পড়েন তিনি। বিপজ্জনক সেই নদী পার করা শুরু করেন একের পর এক পাথরে পা দিয়ে। এক বার পা পিছলোলেই ভেসে যেতেন তিনি। কিন্তু তেমনটা হয়নি। ধীরে ধীরে সেই নদী পেরিয়ে অন্য পারে চলে যান মহিলা। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। সমাজমাধ্যমে হইচইও ফেলেছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিডিয়োতে যে মহিলাকে দেখা গিয়েছে তাঁর নাম কমলা। টিক্কার গ্রামের বাসিন্দা তিনি। সম্প্রতি দু’মাস বয়সি একটি শিশুর অসুস্থতার খবর পান কমলা। শিশুটি গ্রামের যে প্রান্তে থাকে, সেখানে যেতে হলে নদীর উপর একটি সাঁকো পেরিয়ে যেতে হয়। কিন্তু কয়েক দিন আগেই জলের তোড়ে সেই সাঁকো ভেঙে গিয়েছে। তাই শিশুকে ইঞ্জেকশন দিতে জীবনের পরোয়া না করেই ওই ভাবে নদী পেরোন তিনি।
সেই ঘটনার ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে অরিজিৎ সিংহ রাঠি নামের এক সাংবাদিকের এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। কমলা নামে ওই নার্সের সাহসিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন নেটাগরিকেরা। স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ক্ষেত্রে অনুন্নত পরিকাঠামো এবং সুরক্ষার অভাব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।