শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার কাচ ভাঙছেন তরুণী। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
ইনদওর-দিল্লি যাত্রিবাহী ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার ভিতরে বিশৃঙ্খলা! পার্স হারানোর পর ক্ষুব্ধ হয়ে কামরার কাচের জানলা ভাঙলেন এক তরুণী যাত্রী। পাশে একরত্তি শিশুসন্তানকে নিয়েই ওই কাণ্ড ঘটান তিনি। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। সমাজমাধ্যমে হইচইও পড়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
জানা গিয়েছে, শিশুসন্তানকে নিয়ে ট্রেনে করে দিল্লি যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। বসেছিলেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কামরায়। ওই কামরা থেকেই নাকি তাঁর পার্স চুরি যায়। সাহায্যের জন্য সঙ্গে সঙ্গে আরপিএফের কাছে যান তিনি। কিন্তু তরুণীর অভিযোগ, আরপিএফ তাঁকে ওই বিষয়ে কোনও সাহায্য করেনি। এর পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। কোনও সাহায্য না পেয়েই নাকি হতাশা রাগে পরিণত হয়। কিছু ক্ষণ পরে একটি ট্রে তুলে নিয়ে কাচের জানলায় বার বার আঘাত করতে শুরু করেন তরুণী। ফলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামারার কাচে চিড় ধরে যায়। সহযাত্রী এবং রেলকর্মীরা তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেন কয়েক জন যাত্রী। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, নিজের আসনে বসে রয়েছেন তরুণী। তাঁর ঠিক পাশেই বসে তাঁর ছোট্ট সন্তান। মাকে ধরে বসে রয়েছে সে। এমন সময় ক্ষিপ্ত তরুণী বলে ওঠেন, ‘‘আমি আমার পার্স চাই।’’ এর পরেই একটি ট্রে তুলে নিয়ে কাচের জানলায় মারতে থাকেন তিনি। কাচের টুকরো সিট এবং মেঝে জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। অনেকে তাঁকে থামার জন্য অনুরোধ করার পরেও তিনি থামেননি। অনেকে তাঁর মানসিক স্থিতি নিয়ও প্রশ্ন তোলেন।
ভাইরাল ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে। ‘প্রমোদ যাদব’ নামে একটি এক্স হ্যান্ডল থেকেও পোস্ট করা হয়েছে ভিডিয়োটি। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। তরুণীর এ-হেন আচরণ এবং রেলের সম্পত্তি নষ্ট করার জন্য তাঁর নিন্দায় সরব হয়েছেন অনেকে। তরুণীর শাস্তির দাবিও তুলেছেন কেউ কেউ। এক নেটাগরিক ভিডিয়োটি দেখার পর লিখেছেন, ‘‘মহিলার রাগ ন্যায্য। কিন্তু তিনি যা করেছেন, তা নিন্দনীয় এবং অপরাধযোগ্য। ভাঙচুর করে কোনও লাভ হয় না।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘নিজের পার্স নিজেরই যত্ন করে রাখা উচিত ছিল। তরুণীর কাছে জানলা মেরামতের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায় করা উচিত। নিজের সন্তানের কথাও ভাবেননি তরুণী।’’ তৃতীয় এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘শিশুটির জন্য খুব খারাপ লাগছে। কারও উচিত ছিল শিশুটিকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়া।’’
উল্লেখ্য, ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষও। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে বলেও খবর।