—প্রতীকী ছবি।
স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে স্বামীর নম্বর থেকেই ফোন করেছিলেন এক মহিলা। আর তা শুনে কষ্টে, অভিমানে বাসে করে বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন তরুণী। মৃত্যু হল বাসের মধ্যেই। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। জালালপুরের বাসিন্দা ওই মহিলার নাম রীতা (২৫)।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় আড়াই বছর আগে সীতাপুর জেলার বানিয়া মাউ গ্রামের বাসিন্দা শৈলেন্দ্র নামে এক যুবকের সঙ্গে রীতার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পরেই তাঁর যক্ষ্মা ধরা পড়ে। চিকিৎসার জন্য বাপের বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। সুস্থ হয়ে ওঠার পর তিনি শ্বশুরবাড়ি ফিরে যান। মে মাস নাগাদ বিভিন্ন কারণে স্বামীর সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হয় রীতার। স্বামীর ঘর ছাড়েন তিনি। তার পর থেকে ভাই এবং মায়ের সঙ্গে দিল্লিতেই থাকছিলেন রীতা।
খবর, মঙ্গলবার স্বামীর মোবাইল নম্বর থেকে একটি ফোন আসে রীতার কাছে। ফোনে এক মহিলা নিজেকে তাঁর স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে পরিচয় দেন। কথা বলার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন রীতা। মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে বাসে দিল্লি ছেড়ে উত্তরপ্রদেশের হরদইয়ে বাপের বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। জানা গিয়েছে, বাসযাত্রার সময় বিষণ্ণ ছিলেন রীতা। মায়ের কোলে মাথা রেখে কাঁদছিলেন। সেই সময়ই নাকি শরীর খারাপ হয় তাঁর। মায়ের কোলে মাথা রেখেই রীতার মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
রীতার মৃত্যুর পর তাঁর ভাই আতারৌলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আতারৌলি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মার্কণ্ডেয় সিংহ নিশ্চিত জানিয়েছেন যে, দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও।