old

North 24 Pargana: ১১৯ বছরের ‘সাধু-দাদুর’ মৃত্যু, ডিজে বাজিয়ে শ্মশানে নিয়ে গেলেন নাতি-নাতনিরা

নাতি-নাতনিদের দাবি, ‘‘দাদু এ ভাবেই বিদায় চেয়েছিলেন। শোক তো রয়েছে। কিন্তু আনন্দের সঙ্গে বিদায় চেয়েছিলেন তিনি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

হাবড়া শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২২ ১২:০৪
Share:

শেষযাত্রায় ডিজে বাজিয়ে উচ্ছ্বাস! নিজস্ব চিত্র।

স্থানীয়দের দাবি, এলাকার সবচেয়ে বেশি বয়সি মানুষ তিনি। বয়স হয়েছিল ১১৯ বছর। রবিবার তাঁর মৃত্যুতে ডিজে বাজিয়ে শ্মশানে নিয়ে গেলেন কয়েকশো মানুষ। নাতি-নাতনিদের দাবি, ‘‘দাদু এ ভাবেই বিদায় চেয়েছিলেন। শোক তো রয়েছে। কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন আনন্দের সঙ্গে বিদায় নিতে।’’

Advertisement

রবিবার মৃত্যু হয় দেবেন হাজরার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া থানার কুমড়া পঞ্চায়েতের বারুইপাড়া এলাকার এই বাসিন্দার বয়স হয়েছিল ১১৯ বছর। এমনটাই দাবি তাঁর পরিবার ও স্থানীয়দের। সেই বৃদ্ধের শেষযাত্রায় পরিবারের তরফে ভাড়া করা হয়েছিল ডিজে। দাদুকে হারানোয় চোখে জল, কিন্তু তাঁর ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে ডিজের তালে নাচতে নাচতে বিদায় জানালেন নাতি-নাতনিরা। ছিলেন পুরুষ-মহিলা, যুবক-যুবতী— সবাই।

পরিজনের দাবি, বাংলার ১৩১০ সনে জন্ম দেবেন হাজরার। মৃত্যু হল ১৪২৯ সালে। যাত্রাপ্রিয় মানুষ ছিলেন। অভিনয় শেখাতেন গ্রামের মানুষকে। রাজ্যের নানা জায়গায় যাত্রা করতে যেতেন। সেই থেকে যাত্রাগুরু হিসেবে ‘মাস্টারমশাই’ নামে দেবেনকে চেনেন স্থানীয়রা। তাঁরা পরিবারের দাবি, সংসারে থেকেও সাধুর জীবন কাটাতেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতেও দেখা গেল হাজারখানেক মানুষের ভিড়। পুরুষ-মহিলা, যুবক-যুবতী, সবাই ডিজের তালে নাচতে নাচতে তালে নৃত্য করছেন।

Advertisement

দেবেন হাজরার ভাগ্নে রবীন মণ্ডলের কথায়, ‘‘আমার জন্ম মামাবাড়িতে। মামাবাড়িতেই মানুষ হয়েছি। মামারা তিন ভাই ছিল। দুই ভাই আগেই মারা গিয়েছে। আজ বড়মামাও চলে গেল। আমার আর কেউ রইল না।’’ প্রৌঢ়ের সংযুক্তি, ‘‘মামা সাধুর জীবন কাটাত। আমি ওকে গুরুদেব মেনে সেবা-যত্ন করতাম। ইদানীং লাঠি নিয়ে চলাচল করত। এক বার পড়েও গেল হাঁটতে হাঁটতে। তার পর থেকে আর চলাফেরা করতে পারত না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন