প্রতীকী-চিত্র
সরকারি নির্দেশে খোলা হয়েছিল মিষ্টির দোকান। কিন্তু দোকান খোলার যে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, তাতে খদ্দের আসছে না বলে জানিয়েছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। বিক্রি হচ্ছে না মিষ্টি। এ কারণে সোমবার থেকে মিষ্টির দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন বসিরহাটের ব্যবসায়ীরা।
বসিরহাট মিষ্টি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরিপদ দাস বলেন, ‘‘এই ব্যবসার সঙ্গে কয়েক হাজার মানুষ জড়িত। লকডাউনে মিষ্টির দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গোয়ালারা দুধ ফেলে দিচ্ছিলেন। গরুর খাবার জোগাড়ে অসুবিধা হচ্ছিল। দোকান খোলা রাখলে ক্রেতা এবং বিক্রেতা-সহ এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলের খানিকটা হলেও সুবিধা হবে বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু দুপুরে মিষ্টি কিনতে কেউ বেরোন না। বিষয়টি মহকুমাশাসককে জানানো হয়েছে। এরপরেই মিষ্টির দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” ব্যবসায়ীদের কথায়, শহরের দিকে বড় ব্যবসায়ীরা যদিও বা দু’চার জন ক্রেতা পাচ্ছেন, গ্রামের দিকে মিষ্টি খাওয়ার লোক নেই বললেই চলে। বাইরে থেকেও লোকজন যাতায়াত করছেন না। ফলে বিক্রিবাট্টা নেই। তবে শহরের মিষ্টি ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, দুপুরের পরিবর্তে যদি সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা হলে হয় তো লকডাউনেও কিছু বড় দোকান খোলা যেতে পারে।
তবে ব্যবসায়ীদের এই সিদ্ধান্তে হতাশ মিষ্টিপ্রেমী বসিরহাটবাসী।