Abhishek Banerjee

অভিষেকের নিশানায় অন্য অধিকারীরাও

শুভেন্দুর বাবা তথা আর এক তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর দিকেও কিনা, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

Advertisement

নীহার বিশ্বাস

গঙ্গারামপুর শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৫৮
Share:

জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার গঙ্গারামপুরে। ছবি: অমিত মোহান্ত

এর আগেই তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে ‘তৃণমূলে উপসর্গহীন বিজেপি’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। এ দিন গঙ্গারামপুর থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পারছি, ওই বাড়িতে আরও কয়েক জন উপসর্গহীন রোগী আছেন। এখন আমাদের ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে।’’ তাঁর এই বক্তব্য শুনে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, অভিষেকের লক্ষ্য আপাত ভাবে শুভেন্দুর ভাই তথা সাংসদ দিব্যেন্দু। তবে এই ইঙ্গিত আরও এক ধাপ উপরে শুভেন্দুর বাবা তথা আর এক তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর দিকেও কিনা, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি তৃণমূল নেতৃত্ব ধরেই নিয়েছেন, অধিকারী পরিবারের সকলেই গেরুয়া শিবিরের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন?

Advertisement

দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে অধিকাংশ ভোটার হয় তফসিলি জাতি ও জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে এই এলাকায় বিজেপির থেকে প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট কম পেয়েছিল তৃণমূল। সেখানে এ দিন কিন্তু অভিষেকের জনসভায় ভিড় উপচে পড়ে। মাঠ ছাপিয়ে সেই ভিড় পাশের স্টেডিয়াম ও সামনের রাস্তাতেও চলে যায়। এই ভিড়ে ঠাসা সভা থেকে অভিষেক নাম না করে শুভেন্দু তথা অধিকারী পরিবারের দিকে আঙুল তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘সব বেইমান, ডাকাত বিজেপিতে ঢুকে গিয়েছে। আপনি উপসর্গহীন বেইমান, দলের খেয়ে দলের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন।’’ এর পরেই অভিষেক বলেন, ‘‘করোনায় যেমন উপসর্গহীন রোগী থাকে, তেমনই আমাদের দলেও উপসর্গহীন রয়েছেন। আমি বলেছিলাম, নিজের বাড়িতে পদ্ম ফোটাতে পারে না, সে আবার বাংলায় পদ্ম ফোটাবে। যে-ই বলেছি, অমনি নিজের ভাইকে (সৌমেন্দু) দলে টেনে নিল।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এতে আমাদের সুবিধা হল। আমরা বুঝতে পারছি, ওই বাড়িতে আরও কয়েক জন উপসর্গহীন রোগী আছেন। এখন আমাদের ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে।’’

অভিষেকের এই কথার জবাব দিতে গিয়ে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘শুভেন্দুদা আমাদের নেতা। তিনি বলেছেন, অভিষেকের বাড়িতেও পদ্ম ফুটবে। একটু অপেক্ষা করুন, ওখানেও পদ্ম ফুটবে।’’ সুকান্তের কথায়, ‘‘ওঁকে (অভিষেককে) বলব, এ সব নিয়ে বেশি ভাববেন না। চোখে শুধু পদ্ম ফুল দেখবেন। এর চেয়ে বিনয় মিশ্রকে নিয়ে ভাবুন। সিবিআই এলো বলে!’’

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যে ৭ দফায় বিধানসভা ভোট, এপ্রিলে শুরুর কথা ভাবছে কমিশন

অভিষেক এ দিনও বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি আক্রমণ বজায় রাখেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে আক্রমণ করে বলা হচ্ছে, আমি নাকি তোলাবাজ। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, প্রমাণ করুক আমি তোলাবাজ।’’ তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘‘প্রমাণ হলে ইডি, সিবিআই লাগবে না, আমি নিজেই গিয়ে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়াব।’’ এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘আমি নাম নিয়ে বলছি, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত, দিলীপ ঘোষ গুন্ডা, অমিত শাহ বহিরাগত।’’

আরও পড়ুন: মিছিল-স্লোগানে বিশ্বভারতীর রাস্তা উদ্বোধন অনুব্রতর

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এর জবাবে বলেন, ‘‘কয়লা চোর, গরু চোরের কথার জবাব আমি দিতে চাই না। ভোটে মানুষই ওঁদের সব বুঝিয়ে দেবেন।’’ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমি সাধারণ মানুষকে নিয়ে গুন্ডামি করি। অত্যাচারীরা ওদের পক্ষে। তাই মানুষ আমাদের পক্ষে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন