Congress

Congress: তৃণমূলকে ভোট ভাগের খোঁচা সনিয়ার দূতের

গুজরাতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী গোহিল সে রাজ্যে নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে বিরোধী দলনেতাও ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:২২
Share:

বিধান ভবনে শক্তিসিন গোহিল (মাঝে)। —নিজস্ব চিত্র।

অপশাসন এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছেছে, তাদের অপসারণ এখন জরুরি। তার জন্য এককাট্টা হয়ে লড়তে হবে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সব শক্তিকে। নববর্ষের দিনে শহরে এসে কংগ্রেসের তরফে এই বার্তা দিয়ে গেলেন সনিয়া গাঁধীর দূত শক্তিসিন গোহিল। সেই সঙ্গেই তৃণমূল কংগ্রেসের নাম না করেই তাঁর বক্তব্য, নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে গিয়ে কংগ্রেসের মতো ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে ভাঙা হলে তাতে আখেরে বিজেপিরই লাভ।

Advertisement

বিধান ভবনে শনিবার এআইসিসি-র মুখপাত্র এবং রাজ্যসভার সাংসদ গোহিল বিশদ তথ্য দিয়ে অভিযোগ করেছেন, সব অংশের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে মোদী সরকারের নীতির ফলে। জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী, কর্মসংস্থান ঝিমিয়ে পড়েছে এবং অন্য দিকে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার সঙ্কুচিত। এমন সরকারের অপসারণ এখন জরুরি বলে মন্তব্য করেন গোহিল। গুজরাতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী গোহিল সে রাজ্যে নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে বিরোধী দলনেতাও ছিলেন। তিনি যখন বিজেপি-বিরোধী লড়াইকে জোরালো করার ডাক দিচ্ছেন, সেই সময়ে তৃণমূল গোয়া, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা-সহ নানা রাজ্যে সংগঠন তৈরি করতে নজর দিয়েছে এবং কংগ্রেসের নেতাদের দলে টানছে। এই প্রশ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর দলের নাম না করেই গোহিল বলেন, ‘‘যে কোনও রাজনৈতিক দলেরই নিজেদের সংগঠন বিস্তারের অধিকার আছে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে কংগ্রেসের মতো ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে আঘাত করা বা ভোট ভাগ করা হলে তাতে বিজেপিরই সুবিধা হবে!’’ তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের অবশ্য পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘কংগ্রেসকে জিজ্ঞাসা করা উচিত, বাংলায় বিধানসভা ভোটে তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়েছিল কেন? পুরভোটে তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়ছে কেন? আমরা কাউকে সাহায্য করছি না। আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইটা গোটা দেশে নিয়ে যাচ্ছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement