রাজ্য বিজেপি সভাপতি নিয়ে আগামী সপ্তাহেই অমিতের বৈঠক

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সভাপতি বদল নিয়ে আগামী সপ্তাহে বৈঠক ডাকতে চলেছেন অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় আজ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি হিসেবে রাহুল সিংহের মেয়াদ এমনিতেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ৩০ নভেম্বরের পর অমিত শাহ এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক ডাকবেন।’’

Advertisement

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৫ ১৭:৫০
Share:

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সভাপতি বদল নিয়ে আগামী সপ্তাহে বৈঠক ডাকতে চলেছেন অমিত শাহ।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় আজ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি হিসেবে রাহুল সিংহের মেয়াদ এমনিতেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ৩০ নভেম্বরের পর অমিত শাহ এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক ডাকবেন।’’ সম্ভাব্য নাম হিসেবে ইতিমধ্যেই সঙ্ঘ তাদের পছন্দের দিলীপ ঘোষের নাম আগে নিয়ে এসেছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিজেপির এক শীর্ষ নেতা জানান, এই পদের জন্য দুর্গাপুর থেকে বিজেপির প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর নামও সভাপতি পদের জন্য বিবেচনায় রয়েছে। কিন্তু দলের নেতারাই ধন্ধে রয়েছেন, ভোটের ঠিক মুখে এমন কোনও নামকে সভাপতির জন্য বেছে নেওয়া উচিত, যিনি দল ও মানুষের কাছেও গ্রহণযোগ্য হবেন। আর সে কারণেই এখনও পর্যন্ত রাহুল সিংহকে সরানোর বিষয়টি মন্থর হয়ে পড়েছে।

বিজেপির একটি শিবিরের মতে, রাহুল সিংহকে সরানোর অর্থ হল সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি নরম হওয়ার বার্তা দেওয়া। আর যাই হোক, রাহুল সিংহ এতদিন যে ভাবে লড়াই করে দলের উপস্থিতি বাড়াতে পেরেছেন, সেটি এইমুহূর্তে অন্য কাউকে দিয়ে হবে না। তা-ও ভোটের ঠিক মুখে। রাজ্যে বিজেপির হাওয়াতে এখন যদি ভাটা পড়ে, তার দায় একা রাহুল সিংহের উপরেও চাপিয়ে দেওয়া যায় না। ফলে এমন কোনও ব্যক্তিকে যদি এখন সভাপতি পদে বসানো হয়, যাঁকে ঘরে ও বাইরে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই অনেকটা সময় লেগে যাবে, তাতে লাভের চেয়ে লোকসান বেশি। রাজ্যে ক্ষমতা দখল তো দূরস্থান, দ্বিতীয় স্থানটি দখল করতেও রীতিমতো হিমশিম খেতে হবে।

Advertisement

কিন্তু সঙ্ঘ নেতৃত্ব এ বারে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যে সব রাজ্যে সভাপতির দুটি মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়েছে, সেখানে আর মেয়াদ বাড়ানোর প্রশ্নই নেই। এমনকী সামনে ভোট থাকলেও। এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই এখন লড়াই শুরু হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে তাই পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি বদল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ৩০ নভেম্বর গোটা রাজ্যে উত্থান দিবস পালন করা হবে। তারপরেই এই নিয়ে আলোচনা করতে চায় দল। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে খোদ অমিত শাহেরও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিহার নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর সেটি বাতিল করা হয়। যদিও অমিত শাহ আজ সাফাই দিয়ে বলেন, ‘‘ওই সভাটি আমি বাতিল করিনি। রাজ্য নেতৃত্বই বাতিল করেছে। কারণ, জেলায় জেলায় এই অনুষ্ঠান করা হবে। আমার সভা হলে সেখানেই গোটা বিষয়টি কেন্দ্রীভূত হত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন