ইলিশ ১৪০০! চিন্তায় গৃহস্থ  

চকবাজারের এক আনাজ ব্যবসায়ী ধ্রুব দে জানান, বাজার কিছুটা চড়া থাকায় অনেকেই অন্য বারের থেকে কম আনাজ কিনছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৯ ০০:০৮
Share:

ফলের বাজারে কেনাকাটা, কালনার চকবাজারে। নিজস্ব চিত্র

লক্ষ্মীপুজোর দু’দিন আগে থেকেই বাজার চড়ছে ফল, আনাজ এমনকি, মাছেরও। ব্যবসায়ীদের দাবি, অন্য বারের থেকে বিক্রিও কিছুটা কমেছে।

Advertisement

শুক্রবারই কালনার একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, ফুলকপি প্রতিটি ৩৫ টাকা, কেজি প্রতি বাঁধাকপি ৩৫ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, ডাঁটা দেড়শো টাকা, লঙ্কা ৬০ টাকা, ক্যাপসিকাম ১২০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, টম্যাটো ৬০ টাকা, বিনস দেড়শো টাকায় বিকোচ্ছে। আজ, শনিবার আনাজের দর আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান বিক্রেতাদের।

চকবাজারের এক আনাজ ব্যবসায়ী ধ্রুব দে জানান, বাজার কিছুটা চড়া থাকায় অনেকেই অন্য বারের থেকে কম আনাজ কিনছেন। ভোগের তরকারির জন্য ফুলকপি না কিনে পটল, কুমড়ো কিনছেন অনেকে।

Advertisement

কেন? কৃষি দফতরের দাবি, দুর্গাপুজোর সময় লাগাতার ভারী বৃষ্টিই এর জন্য দায়ী। মহকুমা কৃষি দফতরের সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ জানান, অসময়ে ভারী বৃষ্টিতে নিচু এলাকার জমিতে জল জমে গিয়েছিল। ফলে, বহু আনাজ নষ্ট হয়েছে। ফলনও কমেছে। জোগান কম থাকায় বেড়েছে দাম।

লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষে জোড়া ইলিশ খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে অনেক জায়গায়। অথচ, বাজারে ইলিশ প্রায় নেই। কেজি খানেকের কাছাকাছি ওজনের ইলিশ এ দিন বিক্রি হয়েছে ১,১০০ থেকে ১,৪০০ টাকা দরে। চকবাজার মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক জয়দেব দাস বলেন, ‘‘এ বার যা পরিস্থিতি তাতে সাধারণ পরিবারগুলি লক্ষ্মী পুজোয় ইলিশ মাছ কিনবে কি না সন্দেহ। তবে বীরভূম, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, হুগলি থেকে রুই, কাতলা আসায় বাজারে মাছের জোগান ভাল, দাবি তাঁর।

বাজারে ফলের দামও ঊর্ধ্বমুখী। এ দিন কেজি প্রতি আপেল ১০০ টাকা, বেদানা ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, তরমুজ, শসা ৩০ টাকা, রাঙাআলু ৪০ টাকা, শাঁকালু ১০০ টাকা, আঙুর ২০০ টাকা, খেজুর ১০০ টাকা, পানিফল ৪০ টাকায় বিকোতে দেখা গিয়েছে। লক্ষ্মীপুজোয় নারকেলের চাহিদা থাকে প্রায় প্রতি বাড়িতেই। এ দিন নারকেল প্রতিটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া, কাঁঠালি কলা ডজন ৫০ টাকা, প্রতিটি বাতাবি লেবু ১০ টাকা, আনারস ৫০ থেকে ৬০ টাকা দর হেঁকেছেন ব্যবসায়ীরা। ফল ব্যবসায়ী বাসুদেব দে, গোঁসাই সাহাদের দাবি, অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা বিক্রি কম হয়েছে। আশা করা যায় শনিবার বিক্রি বাড়বে।

পুজোর সময় থেকে দাম বেড়েছে মিষ্টিরও। কালনার মাখা সন্দেশ এ দিন বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে। মিষ্টি ব্যবসায়ী দেবরাজ বারুই বলেন, ‘‘ছানা-সহ মিষ্টি তৈরির সব উপকরণের দাম বেড়েছে। তাই দাম না বাড়লে উপায় নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন