ধরা দিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মুকুলকে

সরকারি কৌঁসুলি শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় জানান, গত ১ নভেম্বর কোকওভেন থানা এলাকার মাঠে বিজেপির সমাবেশের অনুমতি পুলিশ দেয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৯ ০২:০০
Share:

ছবি: পিটিআই।

কয়েক জন পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে তিন সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই শর্তেই মঙ্গলবার মুকুলবাবুকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আগাম জামিন দিয়েছে বিচারপতি সহিদুল্লা মুনশি ও বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সারদা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে ইতিমধ্যেই মুকুলকে ই-মেলে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই।

Advertisement

সরকারি কৌঁসুলি শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় জানান, গত ১ নভেম্বর কোকওভেন থানা এলাকার মাঠে বিজেপির সমাবেশের অনুমতি পুলিশ দেয়নি। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, মাঠের ট্রাস্টি বোর্ড সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। সেই সমাবেশেই যোগদানকারী দলীয় কর্মীরা পুলিশকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।

মুকুলের আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল ও রাজদীপ মজুমদার হাইকোর্টে জানান, সেই মামলায় নিম্ন আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তাঁদের মক্কেলের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধরের প্ররোচনা দেওয়ার নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। তিনি সমাবেশে যোগ দেওয়ার আগেই গোলমাল বাধে। আহত পুলিশকর্মীদের খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হলেও মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে, তাঁদের আঘাত গুরুতর নয়। ওই মামলায় বেশ কয়েক জন অভিযুক্ত এর আগেই হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

সরকারি কৌঁসুলি আগাম জামিনের বিরোধিতা করে জানান, দলের নেতাদের উস্কানিতেই গোলমাল বাধে। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে ডিভিশন বেঞ্চ আগাম জামিন মঞ্জুর করে মুকুলকে নির্দেশ দিয়েছে, তিন সপ্তাহে তাঁকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

মুকুলের বিরুদ্ধে পুরুলিয়ার বলরামপুর থানায় জেলাশাসক ও ডেপুটি পুলিশ সুপারের দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্তের উপরে এ দিনই ১২ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ জারি করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। গত ২ নভেম্বর পুরুলিয়ার সরাই ময়দানে মুকুলের পেশ করা বক্তব্য অবমাননাকর বলে অভিযোগ তুলে মানহানির মামলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement