Coronavirus in West Bengal

দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০-র নীচে, দৈনিক সংক্রমণ ও সুস্থতার হারে উন্নতি

কলকাতায় সব মিলিয়ে ২ হাজার ৯৮০ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ শহরে মোট আক্রান্তের সংখ্যাও রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২১ ২২:৫৮
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

দৈনিক সংক্রমণ এবং সুস্থতার নিরিখে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির ক্রমশই উন্নতি হচ্ছে। জানুয়ারির দ্বিতীয় দিন থেকেই নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের কম। অন্য দিকে, সুস্থ রোগীও তুলনামূলক ভাবে বাড়ছে। কোভিড রোগীর দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও নিম্নমুখী। কলকাতা এবং আশপাশের জেলাগুলিতেও প্রায় একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। যদিও কলকাতায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা গত কয়েক দিন ধরে একই রয়েছে। তবে চলতি মাসে সোমবারই রাজ্যেকোভিড টেস্ট করা হয়েছে সবচেয়ে কম।

Advertisement

সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজারের বেশি কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ৫৯৭টি। ফলে শনি এবং রবিবার রাজ্য জুড়ে কোভিডে আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা ৮০০-র উপরে থাকলেও সোমবার তা একধাক্কায় নেমে এসেছে ৬০০-র নীচে।

আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমায় তার প্রভাব পড়েছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হারেও। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সোমবার তা দাঁড়িয়েছে ২.৩৬ শতাংশে। প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। রবিবার এই হার ছিল ২.৭৮ শতাংশ। এই হার যত নিম্নমুখী হবে, ততই স্বস্তিদায়ক।

Advertisement

আরও পড়ুন: দেশ-বিদেশের ডাক্তারদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক, আপাতত আর স্টেন্ট নয়, দু’তিন দিনে ছুটি সৌরভের

আরও পড়ুন: দেশে করোনার নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত আরও ন’জনের সন্ধান, মোট আক্রান্ত ৩৮

দৈনিক সংক্রমণের হারে উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি একই প্রবণতা দেখা দিয়েছে সুস্থতার হারেও। সোমবার তা হয়েছে ৯৬.৪৯ শতাংশ। যদিও সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫লক্ষ ৫৫ হাজার ৫৭২।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)

স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে প্রকাশ, এই মুহূর্তে রাজ্যে সংক্রিয় রোগী রয়েছেন ৯ হাজার ৬৭১ জন। অর্থাৎ, স্বাস্থ্য দফতরের হিসেবে এখনও পর্যন্ত মোট ৫ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮৪ জনই কোভিড থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৩৪৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের জেরে মৃত্যুর সংখ্যাও আগের থেকে অনেকটাই কমেছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে রাজ্যে ২৫ জন সংক্রমিত মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতায় ৮ জন এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)

স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতায় সব মিলিয়ে ২ হাজার ৯৮০ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ শহরে মোট আক্রান্তের সংখ্যাও রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫২ জন। তা ছাড়া, এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ২৪ হাজার ১৬২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। তবে তার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ১৯ হাজার ১৭ জন। ফলে এই মুহূর্তে কলকাতায় ২ হাজার ১৬৫ জন সংক্রিয় কোভিড রোগী রয়েছেন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)

আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। ওই জেলায় এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৬০৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ঘটেছে। তবে তার মধ্যে ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৩২ জন সেরে উঠেছেন। ফলে উত্তর ২৪ পরগনার সংক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮১০। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে সোমবার শীর্ষে রয়েছে ওই জেলা। ওই সময়ের মধ্যে ১৭৪ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন।

কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩, পূর্ব মেদিনীপুর এবং হুগলিতে ২ জন করে সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, দার্জিলিং, পশ্চিম বর্ধমান এবং নদিয়াতে ১ জন করে কোভিড রোগী মারা গিয়েছেন।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন