Coronavirus in West Bengal

আড়াই মাস পর কুড়ির নীচে মৃত্যু, দৈনিক আক্রান্ত হাজারেরও কম

রাজ্যে করোনায় প্রথম মৃত্যু হয়েছিল গত বছরের ২৩ মার্চ। এর পর গত ১৪ অক্টোবর এক দিনে ৬৪ জনের মৃত্যু ঘটেছিল, যা সর্বোচ্চ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২১ ২২:২৮
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

প্রায় আড়াই মাস পর শীর্ষ থেকে সমভূমি ছুঁল রাজ্যে করোনা সংক্রমণের দৈনিক মৃত্যুর গ্রাফ। বৃহস্পতিবার দৈনিক মৃতের সংখ্যা নেমে গেল কুড়ির নীচে। নমুনা পরীক্ষা বাড়ায় এ দিন দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা বুধবারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে, তবে তা রয়েছে এক হাজারের নীচেই। টানা ৬ দিন ধরে এই প্রবণতা বহাল। আশা জাগিয়ে এ দিন সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও নেমেছে সাড়ে ৮ হাজারের নীচে। এমন পরিস্থিতি ইতিবাচক বলেই মনে করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা। তবে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে একই সঙ্গে সতর্কবার্তাও দিচ্ছেন তাঁরা।

Advertisement

রাজ্যে করোনায় প্রথম মৃত্যু হয়েছিল গত বছরের ২৩ মার্চ। এর পর গত ১৪ অক্টোবর এক দিনে ৬৪ জনের মৃত্যু ঘটেছিল, যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বুধবার ওই সংখ্যা ছিল কুড়ির উপরে। তার ২৪ ঘণ্টার মাথায়, বৃহস্পতিবার দৈনিক মৃতের সংখ্যা কমে হল ১৮। এমনটাই জানাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক বুলেটিন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট ৯ হাজার ৮৮১ জনের মৃত্যু হল। এ দিন কলকাতায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনায়। হাওড়া এবং হুগলিতে ৩ জন করে মারা গিয়েছেন। বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে মারা গিয়েছেন ১ জন করে। এ ছাড়া আর কোনও জেলায় করোনায় মৃত্যুর খবর নেই এ দিন।

রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বৃহস্পতিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯২১ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৫৮ হাজার ১৭৩। বুধবারের তুলনায় এ দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বেড়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: কংগ্রেসকে নিয়ে ফেব্রুয়ারির শেষ রবিবার বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ

আরও পড়ুন: শুভেন্দু নেতাই ছাড়তেই গঙ্গাজলে শহিদ বেদী শুদ্ধ করল তৃণমূল

অবশ্য বৃহস্পতিবার রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। এ দিন ৩৫ হাজার ৮৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৯২১টি রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। শতাংশের বিচারে এ দিন করোনা সংক্রমণের হার ২.৫৭ শতাংশ যা বুধবারের তুলনায় সামান্য বেশি। প্রতি দিন যত সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়।

রাজ্যে দৈনিক সুস্থের সংখ্যা বৃহস্পতিবারও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এ দিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ২৯৫ জন। রাজ্যে সব মিলিয়ে ৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮১৬ জন সেরে উঠেছেন করোনা থেকে। কলকাতায় এ দিন ৩৬৫ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ৩১১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। করোনার জেলাভিত্তিক মানচিত্রে দৈনিক সুস্থের সংখ্যাতেও প্রথম দু’টি স্থানে রয়েছে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা।

রাজ্যে সার্বিক ভাবেই বেড়েছে সুস্থ হওয়ার প্রবণতা। তার উপর ভর করে রোজ রাজ্যে কমছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। বুধবার রাজ্যে সুস্থতার হার ছিল ৯৬.৬৪ শতাংশ। বৃহস্পতিবার তা হয়েছে ৯৬.৭১ শতাংশ। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ৮ হাজার ৪৭৬ জন।

রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা বাদ দিলে কোনও জেলায় এ দিনও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা একশো-র গণ্ডি পেরোয়নি। এ দিন দৈনিক আক্রান্ত বেশি কলকাতায়, ২৪০ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় এ দিন করোনা ধরা পড়েছে ২২৩ জনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭২, নদিয়ায় ৫৩ এবং হুগলিতে ৫১ জন করোনা আক্রান্ত। বাকি জেলাগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০-এর গণ্ডি পেরোয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement