প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু হওয়ার পরে এ বার নির্বাচন কমিশনের নজরে পশ্চিমবঙ্গ। কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী মাসের মধ্যে রাজ্যে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ (‘স্পেশ্যাল ইন্টেনসিভ রিভিশন’ বা এসআইআর)-এর কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা। এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ে।
পশ্চিমবঙ্গে শেষ বার ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি ভোটার তালিকার এসআইআর হয়েছিল। ২৩ বছর পরে আবার চলতি বছরের অগস্ট থেকে তা হতে চলেছে বলে কমিশনের ওই সূত্র জানাচ্ছে। ভোটার তালিকা সংশোধনের বিষয়ে নয়া পদ্ধতি পালনের জন্য প্রতিটি রাজ্যকে ইতিমধ্যে নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে কমিশনের তরফে। কমিশন সূত্রে খবর, বিহারের মতো ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত বা নথি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি মানা হবে বাংলাতেও। প্রসঙ্গত, আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।
সম্প্রতি কালীগঞ্জের উপনির্বাচনেও ওই কাজ করেছিল কমিশন। প্রথমে অনলাইনে আবেদন শুরু হবে। তার পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করবেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরির প্রমাণ মিললে এফআইআর দায়ের করা হবে। যদিও নতুন পদ্ধতি নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি তুলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। মঙ্গলবার দলের লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক এবং রাজ্যের তিন মন্ত্রী— ফিরহাদ (ববি) হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং অরূপ বিশ্বাস কমিশনের সদর দফতর গিয়ে এ বিষয়ে তাঁদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন।
২০২৪ সাল পর্যন্ত তালিকাভুক্ত কোনও ভোটারের নাম যাতে বাদ না পড়ে, তা নিশ্চিত করার জন্য মঙ্গলবার কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। যদিও কমিশনের নতুন নির্দেশিকায় ২০০৩ সালকে ভিত্তি হিসেবে ধরার কথা বলা হয়েছে। কল্যাণ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমাদের দাবি, ২০২৪ সালের ভোটার তালিকাকে ভিত্তি ধরে এসআইআর করা উচিত।’’ সাম্প্রতিক সময়ে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লিতে বিধানসভা ভোটের আগে বিপুল পরিমাণ ভোটারের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল কমিশন। যা নিয়ে কংগ্রেস, আপ, উদ্ধবসেনা-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল আগেই আপত্তি তুলেছে। বাংলার ক্ষেত্রে যাতে এমনটা না হয়, সে বিষয়েও তৃণমূল বার্তা দিয়েছে কমিশনকে।