শিল্পপতি পবন কুমার রুইয়া তদন্তকারীদের নজরে। —ফাইল চিত্র।
দেশ জুড়ে বিভিন্ন অনলাইন প্রতারণার টাকা ঢুকেছে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পপতি পবনকুমার রুইয়া এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। মোট ৩১৫ কোটি টাকার হদিস পেয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞেরা। তার পরেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পবনদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। অভিযোগ, পবন এবং তাঁর পরিবারের অনেকের নামে বহু ভুয়ো সংস্থা (শেল কোম্পানি) রয়েছে। সেই সমস্ত সংস্থার অ্যাকাউন্টে সাইবার প্রতারণার টাকা জমা রাখা হয়েছে। শুক্রবার এ বিষয়ে খোঁজ নিতে পবনের বাড়িতেও হানা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।
জাতীয় অপরাধ নথিভুক্তিকরণ পোর্টালের (এনসিআরপি) তথ্য অনুযায়ী, পবনদের সঙ্গে যুক্ত ভুয়ো সংস্থাগুলির নামে গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১৩৭৯টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে শতাধিক অভিযোগ রয়েছে শুধু পশ্চিমবঙ্গ থেকে।
পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনলাইন বিনিয়োগে মোটা অঙ্কের রিটার্ন পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে। কেউ কেউ ডিজিটাল গ্রেফতারি বা অন্য ধরনের সাইবার অপরাধের শিকারও হয়েছেন। খোয়াতে হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। তদন্তের মাধ্যমে হুগলি মেশিনারিজ় প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি সংস্থার দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া যায়। প্যান সংক্রান্ত নথি ঘেঁটে পুলিশ জানতে পারে, ওই অ্যাকাউন্টগুলির বিরুদ্ধে ৫৪৪টি সাইবার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি টাকা। এই সংস্থার সঙ্গে পবনদের পরিবারের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।
পরে এই ধরনের মোট ১৮৬টি সংস্থার হদিস পাওয়া গিয়েছে। মোট ডিরেক্টরের সংস্থা ১১ জন। তার মধ্যে ১৪৭টি সংস্থার দফতরের ঠিকানা ৯, এজ়রা স্ট্রিট। সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে কোনও দফতরই খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর পরেই পবন-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। নাম রয়েছে সরিতা রুইয়া, রাঘব রুইয়া, পল্লবী রুইয়া এবং সাক্ষী রুইয়ার।