আজ পুরশুড়ায় মমতার জনসভা
Mamata Banerjee

মিলবে না বাস, ভোগান্তির আশঙ্কা

বাসমাসিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, সভায় যাওয়ার জন্য শ্রীরামপুর, চুঁচুড়া, আরামবাগ, তারকেশ্বর এবং চন্দননগরের প্রায় সমস্ত রুট থেকেই ৯০ শতাংশেরও বেশি বাস ভাড়া করেছে তৃণমূল।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় 

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:১৮
Share:

মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলের কাছে পরীক্ষামূলক ভাবে হেলিকপ্টারের অবতরণ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যাওয়ার জন্য জেলার ৯০ শতাংশের বেশি বেসরকারি বাস ভাড়া করেছে তৃণমূল। ফলে, আজ, সোমবার পথে বেরিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা।

Advertisement

আজ পুরশুড়ার সেকেন্দারপুরে সভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। বাসমাসিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, সভায় যাওয়ার জন্য শ্রীরামপুর, চুঁচুড়া, আরামবাগ, তারকেশ্বর এবং চন্দননগরের প্রায় সমস্ত রুট থেকেই ৯০ শতাংশেরও বেশি বাস ভাড়া করেছে তৃণমূল। বাসমালিক সংগঠনের নেতা অজিত খান বলেন,‘‘চুঁচুড়া থেকে ন’টি রুটে বাস চলে। প্রতিটি রুটের বাসই তুলে নেওয়া হয়েছে। বাস চালানো আর লাভজনক নয়। তাই মালিকরা বাস ভাড়া দিয়েছেন।’’ ওই ন’টি রুটের মোট ১৪৩টি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে বলে বাসমালিক সংগঠন সূত্রে খবর।

মঞ্চের আশপাশে পরীক্ষা চলছে। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ।

লকডাউন-এর সময় চুঁচুড়া, চন্দননগর এবং শ্রীরামপুর থেকে ধর্মতলাগামী যে সরকারি বাসগুলি চলত, সেগুলি আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে, সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে পথে বেরনো মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হবে বলে মনে করছেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের একাংশও।

Advertisement

শ্রীরামপুরে ছ’টি রুটে ৭৩টি বাস চলে। শ্রীরামপুর বাসওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রঞ্জন প্রামাণিক বলেন, ‘‘শ্রীরামপুরের পাঁচটি রুটের বেশির ভাগ বাসই তুলে নেওয়া হয়েছে। বাস চালিয়ে লাভের মুখ দেখতে পান না ব্যবসায়ীরা। তেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। তাই মালিকরা এখন বাস ভাড়া দিতেই বেশি আগ্রহ দেখান।’’

হুগলির জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন,‘‘ জানি যে, আমরা বাস ভাড়া নেওয়ায় সপ্তাহে প্রথম কাজের দিনে রাস্তায় বেরিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হবে মানুষকে। তাই, তাঁদের কাছে আগাম ক্ষমা চেয়ে রাখছি।’’ সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত রায় বলেন,‘‘আমরাও মিটিং-মিছিল করি। কিন্তু মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা বিসর্জন দিয়ে করি না।’’ বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বসু বলেন, ‘‘তৃণমূল এখন অস্তিত্ব রক্ষায় মরিয়া। মানুষের অসুবিধা নিয়ে ভাবার সময় ওদের নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন