Fish

Death: গলায় জ্যান্ত কই মাছ আটকে মৃত্যু

পুকুরে স্নান করতে নেমে দু’হাতে পাঁক ঘেঁটে একটি কই মাছ পেয়েছিলেন তিনি। সেই মাছ দাঁতে চেপে রেখে ফের ডুব দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খানাকুল শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২২ ০৫:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুকুরে স্নান করতে নেমে দু’হাতে পাঁক ঘেঁটে একটি কই মাছ পেয়েছিলেন তিনি। সেই মাছ দাঁতে চেপে রেখে ফের ডুব দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করেছিলেন। তখনই দাঁত ফসকে কোনও ভাবে কই মাছটি গলায় আটকে যাওয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হল খানাকুলের নতিবপুরের রতিকান্ত ভুঁঞের (৪৫)। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের লোকজন এবং পড়শিরা। ঘটনাটি বুধবার দুপুরের। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিশ জানায়, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। ময়নাতদন্তের সময়ে মাছটি তাঁর গলা থেকে বের করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামাঞ্চলে বহু জায়গাতেই পুকুরে স্নানের সময়ে ওই ভাবে মাছ ধরেন অনেকে। পেশায় ট্রলিচালক রতিকান্তও বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে স্নান করতে নামেন। তারপরেই ওই ঘটনা। প্রতিবেশীরা পুকুর থেকে তাঁকে উদ্ধারের সময় দেখতে পান কই মাছের মাথার দিক রতিকান্তর মুখের ভিতরে, বাইরে লেজ। মাছটি লাফালাফি করে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছে।

রতিকান্তর প্রতিবেশী বিকাশ ভুঁঞে বলেন, ‘‘গলায় মাছ আটকে যাওয়ায় ও কিছু বলতে পারছিল না। জল থেকে উঠে আসারও ক্ষমতাও ছিল না। আমাদের কয়েকজন জলে নেমে ওঁকে তুলে আনা হলে ইশারায় গলায় মাছ আটকে যাওয়ার কথা বলে।”

Advertisement

পড়শিরা রতিকান্তকে প্রথমে কাছেই নতিবপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে মাছ বের করা যায়নি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। সেখানে যাওয়ার পথে হাওড়ার গাববেড়িয়ায় তাঁকে নিথর হয়ে যেতে দেখে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা রতিকান্তকে মৃত ঘোষণা করেন বলে পড়শিরা জানান।

নতিবপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রক্তিম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই ব্যক্তিকে যখন আনা হয়, তখনই প্রায় শ্বাসরোধ হয়ে খুব খারাপ অবস্থা ছিল। তার উপর কই মাছটি লাফালাফি করায় তার কাঁটা গলায় এমনই ঢুকে ছিল যে সেটি বের করার মতো এখানে কোনও পরিকাঠামো ছিল না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন