— প্রতীকী চিত্র।
তারকেশ্বরে শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত একজনই। প্রাথমিক তদন্তের পরে জানালেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। এই ঘটনায় তদন্তের জন্য গঠন করা হয়েছে পাঁচ জনের একটি দল। পুলিশ সুপার জানান, গুড়াপের শিশু ধর্ষণের মতো এই নির্যাতনেরও তদন্ত দ্রুতই শেষ করা হবে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে নির্যাতিতার দাদুকে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, তারকেশ্বরের এই ঘটনা ‘স্পর্শকাতর, অপ্রত্যাশিত এবং দুঃখজনক’। ইতিমধ্যেই শিশুর এক নিকট আত্মীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আদালত বন্ধ থাকায় তাঁকে এক দিনের জন্য জেলে পাঠানো হয়েছে। সোমবার তাঁর সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আদালতে হাজির করানো হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে এই ঘটনার তদন্তে যুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন হোমে রাখা হবে শিশুটিকে। তবে এখন চন্দননগর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে শিশুটির। পুলিশ সুপার জানান, যে এলাকায় ঘটনাটি হয়েছে, সেটি রেলের আওতাধীন। সে কারণে রেলকে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি পুলিশের তরফ থেকে টহলদারি বাড়ানো হবে। কামনাশিস জানান, ইতিমধ্যে মহিলা দল টহলদারি শুরু করেছে।
তারকেশ্বর স্টেশন চত্বরে পরিবারের সঙ্গে ঘুমোচ্ছিল ওই শিশুকন্যাটি। অভিযোগ, শনিবার ভোরে মশারি কেটে তাকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরে তার উপর শারীরিক অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু মারধর নয়, যৌন নির্যাতনের অভিযোগও তোলে ওই শিশুটির পরিবার। তাদের দাবি, শনিবার ভোর থেকে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সারা সকাল বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন তাঁরা। শেষমেশ দুপুরে স্টেশন সংলগ্ন একটি নর্দমা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। তার যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। গালে কামড়ের ক্ষত ছিল। শরীরের একাধিক অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরিবারের তরফে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ।