Mamata Banerjee

‘মেন্টাল হেল্‌থের নামে পরোক্ষে এনআরসি সার্ভে করছে’! অভিযোগ মমতার, অস্বীকার কল্যাণী এমসের

এনআরসি নিয়ে প্রথম থেকেই সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এ রাজ্যে এনআরসি চালু করতে দেবেন না। সোমবার এনআরসি নিয়ে সরাসরি কল্যাণী এমস-কে নিশানা করেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৫ ২৩:০৪
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

আবার এক বার জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি দাবি করেন, ‘‘মেন্টাল হেল্‌থের নামে পরোক্ষ ভাবে এনআরসি সার্ভে করছে কল্যাণী এমস।’’ মুখ্যমন্ত্রীর সেই অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কল্যাণী এমসের ডিরেক্টর রামজী সিংহ জানান, রাজ্য সরকারকে জানিয়েই সমীক্ষা করা হচ্ছে!

Advertisement

এনআরসি নিয়ে প্রথম থেকেই সরব মমতা। তিনি বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এ রাজ্যে এনআরসি চালু করতে দেবেন না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিজেপি বিভিন্ন এজেন্সি বা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে এনআরসি চালু করার কাজ করছে। সোমবার মমতা এনআরসি নিয়ে সরাসরি নিশানা করেন কল্যাণী এমস-কে। তিনি বলেন, ‘‘কল্যাণী এমসকে অনেক সাহায্য করেছি। উদ্বোধনের সময় আমাদের জানায় না। মেন্টাল হেল্‌থের নামে পরোক্ষে এনআরসির নামে সার্ভে করছে।’’

এখানেই থামেননি মমতা। পশ্চিমবঙ্গবাসীকে সতর্ক করে বলেন, ‘‘কোনও সংস্থা যদি আপনাদের কাছে সার্ভে করতে যায়, তা হলে রাজ্য সরকারের কাছে জেনে নেবেন। আর রাজ্য সরকার যখন করবে, জানিয়ে দেবে।’’ নাম না করে বিজেপিকে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণ, ‘‘মেন্টাল হেল্‌থের নাম করে বাড়ি বাড়ি সার্ভে করে একটা পার্টির হয়ে কাজ করা! সরাসরি দলের হয়ে করুক না। লোক নেই বলে?’’

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘অনেক এজেন্সি, অনেক সংস্থার নাম করে বাড়ি বাড়ি সার্ভে করছে আপনার ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেবে বলে। সতর্ক থাকুন। সজাগ থাকুন। রাজ্য সরকারি আধিকারিক ছাড়া কাউকে কোনও তথ্য দেবেন না।”

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই এ ব্যাপারে মুখ খুললেন কল্যাণী এমসের কর্তৃপক্ষ। ডিরেক্টর রামজী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এই সমীক্ষাটি পশ্চিমবঙ্গে নয়, গোটা দেশেই হচ্ছে।’’ কেন এই সমীক্ষা করা হচ্ছে, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রামজী। তাঁর কথায়, ‘‘জনগণের মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং চাহিদা মূল্যায়নের জন্যেই দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই সমীক্ষার কাজ চলছে।’’ তাঁর দাবি, রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত ডিরেক্টরকে জানিয়েই পশ্চিমবঙ্গে এই কাজ করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement