Calcutta High Court

রাজ্যে ৭০০ ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা! সর্বস্বান্ত কয়েক হাজার, ধৃতদের জামিন খারিজ হাই কোর্টে

পুলিশ জানতে পারে, ওই প্রতারণার সঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক চক্র কাজ করছে। ৭০০-র বেশি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ১৫৩০ জন। প্রতারণার টাকা দুবাই ও শ্রীলঙ্কায় পাচার করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:৪৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রাজ্য জুড়ে ৭০০-র বেশি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণায় সর্বস্বান্ত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। কোটি কোটি টাকার প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ব্যাঙ্কের কর্মচারীও! এমন একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে সাইবার প্রতারণা মামলায় তিন অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘‘ভুয়ো কোম্পানি, নকল লাইসেন্স ও নথিপত্র ব্যবহার করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতানো হয়েছে। এখন জামিন দিলে অভিযুক্তেরা সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারেন অথবা প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন।’’

Advertisement

অভিযোগকারী সায়ন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ফেসবুকে শেয়ার ট্রেডিংয়ের বিজ্ঞাপন দেখে লোভে পড়ে তিনি বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দু’টি হোয়াট্‌সঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিয়ে অ্যাপ ডাউনলোড করেন। পরে বুঝতে পারেন অ্যাপগুলো ‘ভুয়ো।’ কিন্তু তার আগেই তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট এক কোটি ৩৫ হাজার টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে ফেলেছেন। পরে সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাঁকে আরও টাকা জমা দিতে বলা হয়। প্রতারণার ফাঁদ বুঝতে পেরে তিনি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ওই অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই প্রতারণার সঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক চক্র কাজ করছে। ৭০০-র বেশি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ১৫৩০ জন। প্রতারণার টাকা দুবাই ও শ্রীলঙ্কায় পাচার করা হয়েছে। অভিযোগ, চাকরির প্রতিশ্রুতি, ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স, নকল সিল ব্যবহার করে প্রতারণা করা হয়েছে।

Advertisement

তিন জন গ্রেফতার হন। তাঁদের মধ্যে দুই অভিযুক্ত প্রেমকুমার মহাশেঠ এবং জিতেন্দ্রকুমার চৌরাসিয়ার অফিস থেকে ভুয়ো কাগজপত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ফর্ম, রাবার স্ট্যাম্প, প্যান কার্ড, ডেবিট কার্ড, ল্যাপটপ-সহ বহু নথি উদ্ধার করে পুলিশ। আর এক অভিযুক্ত শিলাজিৎ চৌধুরী একটি ব্যাঙ্কের কর্মচারী ছিলেন। তিনি ভুয়ো নথি দিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতেন বলে অভিযোগ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ব্যাঙ্কের গোপন তথ্য পাচার করতেন এবং বাজার থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা তুলেছেন তিনি।

ওই অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই প্রতারণার সঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক চক্র কাজ করছে। ৭০০-র বেশি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ১৫৩০ জন। প্রতারণার টাকা দুবাই ও শ্রীলঙ্কায় পাচার করা হয়েছে। অভিযোগ, চাকরির প্রতিশ্রুতি, ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স, নকল সিল ব্যবহার করে প্রতারণা করা হয়েছে।

ঘটনাক্রমে তিন জন গ্রেফতার হন। তাঁদের মধ্যে দুই অভিযুক্ত প্রেমকুমার মহাশেঠ এবং জিতেন্দ্রকুমার চৌরাসিয়ার অফিস থেকে ভুয়ো কাগজপত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ফর্ম, রাবার স্ট্যাম্প, প্যান কার্ড, ডেবিট কার্ড, ল্যাপটপ-সহ বহু নথি উদ্ধার করে পুলিশ। আর এক অভিযুক্ত শিলাজিৎ চৌধুরী একটি ব্যাঙ্কের কর্মচারী ছিলেন। তিনি ভুয়ো নথি দিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতেন বলে অভিযোগ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ব্যাঙ্কের গোপন তথ্য পাচার করতেন এবং বাজার থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা তুলেছেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট মামলায় হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘প্রমাণ অনুযায়ী অভিযুক্তদের ভূমিকা স্পষ্ট।’’ হাই কোর্ট এর পর বলে, ‘‘ওই অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ করা হল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement