মহম্মদ শোয়েব।
কিছু দিন আগেই সকালের শহরে রাস্তা পেরোতে গিয়ে বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্যু ঘটেছিল এক স্কুলছাত্রের। ৪ জুলাইয়ের ওই দুর্ঘটনা গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে বাবার চোখের সামনে প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল আজিজ সেন্টওয়ালা নামে সেই ছাত্রের। তার পরেও সকালের দিকে যানবাহন যে কতটা বেপরোয়া, তার ফের প্রমাণ মিলল সোমবার সকালে। এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ কড়েয়া এলাকার ৪ নম্বর ফ্লাইওভারে চলন্ত বাস থেকে এক ছাত্রকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ওই বাসেরই কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে। আহত ওই ছাত্রকে প্রথমে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে, পরে ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের মাথায় এবং হাতে গুরুতর চোট লেগেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঠিক কী ঘটেছিল?
আরও পড়ুন: মূক তরুণীকে গণধর্ষণের চেষ্টা, ধৃত ১
পুলিশ জানিয়েছে, ইসলামিয়া স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মহম্মদ শোয়েব এবং তার বন্ধু মহম্মদ দানিশ স্কুলে যাওয়ার জন্য ৪ নম্বর ব্রিজের কাছে বাসের অপেক্ষা করছিল। এরা দু’জনেই তপসিয়ার কুস্তিয়া রোডের বাসিন্দা। পার্ক সার্কাসগামী একটি বেসরকারি বাস এলে দু’জনেই একসঙ্গে ওই বাসে ওঠার চেষ্টা করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, বাসটিতে প্রথম থেকেই খুব ভি়ড় ছিল। ফলে শোয়েবের বন্ধু ওই বাসে উঠে গেলেও কিছুতেই উঠতে পারছিল না শোয়েব। অভিযোগ, তখনই কন্ডাক্টর শোয়েবকে ধাক্কা মারে। টাল সামলাতে না পেরে হাত পিছলে রাস্তায় পড়ে যায় শোয়েব। সেই সময়েই পিছন থেকে আসা একটি অটো গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ফের ধাক্কা মারে শোয়েবকে। রাস্তার একধারে ছিটকে পড়ে রক্তাক্ত ওই ছাত্র। এর পরেই আহত শোয়েবকে বাঁচাতে ছুটে আসেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরাই ওই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
শোয়েবের বন্ধু মহম্মদ দানিশের কথায়, ‘‘বাসে ওঠার পর থেকেই কন্ডাক্টর বলছিল, চড়না হ্যায় তো চ়়ড়ো। নেহি তো উতর যাও। আমি কোনওরকমে ভেতরে ঢুকতে পারলেও কন্ডাক্টর শোয়েবকে ধাক্কা মারে। ও রাস্তায় পড়ে যায়। আমি পার্ক সার্কাসে বাস থামলে নেমে হাঁটতে হাঁটতে এখানে আসি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাসটিকে এখনও পর্যন্ত ধরা যায়নি। তবে ঘটনাস্থলের কাছের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।