প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কলকাতার আনন্দপুর থানা এলাকার গুলশন কলোনিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব এবং গুলি চালানোর ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মহম্মদ অম্বার ওরফে মহম্মদ নাফিস। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই অভিযুক্তকে। গুলশন কলোনির ঘটনায় এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড় হল চার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বন্দুক নিয়ে কয়েক জন দুষ্কৃতী গুলশন কলোনিতে তাণ্ডব চালায়। ওই দিন সন্ধ্যাতেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্রও। বাকি দুষ্কৃতীদের ধরতে তল্লাশি জারি ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে থেকে আর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আচমকা সংঘর্ষ শুরু হয় গুলশন কলোনিতে। কয়েক রাউন্ড গুলি চলে বলেও অভিযোগ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। পরে পুলিশ এসে এন্টালি এবং নারকেলডাঙা থানা এলাকা থেকে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। স্থানীয়দের দাবি, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। যদিও ঠিক কী কারণে এই সংঘর্ষ এবং গুলি চলল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, শহরে একের পর এক অপরাধের ঘটনায় বার বার জড়িয়েছে গুলশন কলোনির নাম। ঘন জনবসতি এবং ঘিঞ্জি ওই এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য নিয়ে লালবাজারের উদ্বেগ অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার সে কথা শোনা গিয়েছে পুলিশকর্তাদের বৈঠকে। কখনও ভরসন্ধ্যায় যুবককে রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে খুন করা হচ্ছে, কখনও আবার দুই গোষ্ঠীর বিবাদে প্রকাশ্যেই হচ্ছে বোমা-গুলির বৃষ্টি। কখনও আবার ভিন্রাজ্যের পুলিশ এসে ওই এলাকায় হানা দিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে মাসের পর মাস ঘাঁটি গেড়ে থাকা একদল বাংলাদেশিকে। ওই এলাকাকে বিশেষ নজরে রেখেছে লালবাজারও। যদিও তার পরেও পরিস্থিতির বিশেষ কোনও পরিবর্তন হয়নি।