Coronavirus

স্ত্রী আক্রান্ত করোনায়, জানতে পেরেই মৃত্যু বৃদ্ধের

বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে কামারহাটিতে। সূত্রের খবর, ওই বৃদ্ধের বড়বাজারে ব্যবসা রয়েছে। কয়েক দিন জ্বরে ভোগার পরে গত শনিবার তিনি সুস্থ হন। রবিবার অর্থাৎ ২৬ জুলাই রাত থেকে জ্বর আসে বৃদ্ধের স্ত্রীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২০ ০২:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি

স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, জানতে পেরেই মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ। চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকেরা জানান, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭২ বছরের ওই বৃদ্ধের।

Advertisement

বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে কামারহাটিতে। সূত্রের খবর, ওই বৃদ্ধের বড়বাজারে ব্যবসা রয়েছে। কয়েক দিন জ্বরে ভোগার পরে গত শনিবার তিনি সুস্থ হন। রবিবার অর্থাৎ ২৬ জুলাই রাত থেকে জ্বর আসে বৃদ্ধের স্ত্রীর। তাতে সন্দেহ হয় দম্পতির প্রতিবেশীদের। সোমবার সকালে ৬৭ বছরের স্ত্রীকে নিয়ে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আসেন ওই বৃদ্ধ। সেখানেই তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা হয়। বুধবার রাতে হাসপাতালে রিপোর্ট নিতে আসেন তিনি।

সূত্রের খবর, স্ত্রীর কোভিড পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে শুনেই অসুস্থ বোধ করেন বৃদ্ধ। কোনও মতে নিজেকে সামলে হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময়েই মাথা ঘুরে পড়ে যান। লোকজন তাঁকে উদ্ধার করলে চিকিৎসকেরাও সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু বৃদ্ধকে বাঁচানো যায়নি। এর পরে হাসপাতালের তরফেই সব নথি পরীক্ষা করে বৃদ্ধের ঠিকানা জোগাড় করা হয়। কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন, ওই দম্পতি নিঃসন্তান। তখন স্থানীয় কয়েক জনের সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাম্বুল্যান্সে বৃদ্ধের দেহ বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন তাঁরা।

Advertisement

অভিযোগ, এলাকায় পৌঁছনোর পরে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে বৃদ্ধের দেহ নামাতে কার্যত কোনও প্রতিবেশীই সহযোগিতা করেননি। তাঁদের দাবি, ‘‘বৃদ্ধ জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। ওঁর স্ত্রীও ভুগছেন। তাই ভয়ে কেউ এগিয়ে যাননি।’’ বিষয়টি জানতে পেরে কামারহাটি পুরসভার কর্মীরা বৃদ্ধের দেহ সৎকার করেন। বৃহস্পতিবার তাঁর স্ত্রীকে রাজারহাটের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুরসভার তরফে বৃদ্ধের ফ্ল্যাট ও এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন