Election Commission

নির্বাচন কমিশনে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোট নিশ্চিত করার দাবি সর্বদল বৈঠকে

আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে ভোটার তালিকা সংশোধন, ভোটারদের নাম তোলা এবং বাদ দেওয়ার কাজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২০ ২০:৪০
Share:

সর্বদল বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। ছবি: পিটিআই।

নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে পরিযায়ী শ্রমিকেদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এক সুরে আবেদন জানালেন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। আগামী বছর এপ্রিল-মে মাসে এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই ভোটার তালিকায় যে সব পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম বাদ গিয়েছে অথবা ওঠেনি, অবিলম্ব তাঁদের নাম নথিভূক্ত করার দাবি জানানো হল। আজ, সোমবার সর্বদল বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বক্তব্য শোনেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব।

Advertisement

আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে ভোটার তালিকা সংশোধন, ভোটারদের নাম তোলা এবং বাদ দেওয়ার কাজ। বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, সিপিএমের রবীন দেব, বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদার, কংগ্রেসের ঋজু ঘোষাল-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা।

রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের যুক্তি, পরিযায়ীদের মধ্যে অনেকেই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ভোটের সময় ফেরেন না। ফলে তালিকা থেকে নাম বাদ চলে যায়। কিন্তু এ বার করোনার কারণে পরিস্থিতি আলাদা। অনেকেই বাইরে যেতে চাইছেন না। রাজ্যেই কাজ খুঁজে নিচ্ছেন। এ বার বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা যাতে ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাবকে। একই সঙ্গে ‘ভুতুড়ে’ ভোটার এবং প্রতিটি বুথে বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার)-এর উপস্থিতিতে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিষয় নিয়েও সরব হন তাঁরা।

Advertisement

কমিশন সূত্রে খবর, ১৮ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নাম সংশোধন, নাম তোলা এবং বাদ দেওয়ার কাজ চলবে। ২১ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ প্রচার অভিযান চালাবে রাজ্য জুড়ে। ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সংশোধনের সুযোগ থাকবে। ১৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাসের হিসেব অনুযায়ী রাজ্যে প্রায় ৭ কোটি ২৯ লক্ষ ৪১ হাজার ভোটার রয়েছেন। নতুন সংশোধিত তালিকায় ভোটার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভোটার তালিকায় নাম তোলা-সহ যে কোনও প্রয়োজনে ১৯৫০ টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করা যাবে। এ বছর সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলির মাধ্যমেও প্রচারের উপর জোর দিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন