Rabindranath Ghosh

মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে কোচবিহার পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে একসঙ্গে দেখা গেল অভিজিৎ-রবীন্দ্রনাথকে

কিছুদিন আগেই রবীন্দ্রনাথকে তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেন অভিজিৎ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্রনাথ এবং অভিজিতের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ ০০:১২
Share:

কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অভিজিৎ দে ভৌমিক। — নিজস্ব চিত্র।

আগামী ৯ ডিসেম্বর কোচবিহারে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে আসার আগে পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে একসঙ্গে দেখা গেল কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা কোচবিহার পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অভিজিৎ দে ভৌমিককে।

Advertisement

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শহুরে ভোট পুনরুদ্ধার করতেই নতুন মুখ আনতে চায় শাসকদল। তবে কিছু জায়গায় এই রদবদল করতে গিয়ে দলীয় কোন্দলও শুরু হয়। কোচবিহারেও তেমনই পরিস্থিতি। কোচবিহার পুরসভার পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথকে ইস্তফার নির্দেশ দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের সভাপতি অভিজিতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই মাঝে রবীন্দ্রনাথ এবং অভিজিৎকে একই মিটিংয়ে দেখা গেল।

কিছুদিন আগেই রবীন্দ্রনাথকে তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেন অভিজিৎ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্রনাথ এবং অভিজিতের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে নালিশ যায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। পুরসভার চেয়ারম্যানের পদত্যাগের নির্দেশের ঘটনার পরেই কোচবিহার জেলা তৃণমূল দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। একদিকে, কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ এবং কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। অন্য দিকে, রবীন্দ্রনাথ, পার্থ প্রতিম রায়-সহ তৃণমূলের পুরনো নেতৃত্বরা। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল এতটাই বেড়ে যায় যে রবীন্দ্রনাথ, পার্থ গোষ্ঠী জেলার বহু পুরনো নেতৃত্বদের নিয়ে পৃথকভাবে বৈঠক করেন এবং অভিজিৎ ও উদয়নের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। আর সেই অভিযোগ পত্রে জেলার বহু পুরনো পদাধিকারীদের স্বাক্ষর ছিল।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ওই চিঠি পাঠানোর পরেই ব্যাকফুটে যায় জেলা সভাপতি অভিজিৎ। জেলা সভাপতি পক্ষ থেকে সেই সময় কোচবিহার পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে পৃথকভাবে বৈঠক পর্যন্ত করা হয় এবং কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব রাখা হয়।

আগামী ৯ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে জনসভা করবেন। মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে আসার এই খবর পৌঁছোতেই নিজেকে কার্যত সংযত করে সোমবার কোচবিহার পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে হাজির হয়ে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ ও রবীন্দ্রনাথ।

জানা গিয়েছে, ওই দিন মমতা কোচবিহারের রাস মেলা ময়দানে জনসভার পাশাপাশি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সভা প্রসঙ্গে অভিজিৎ বলেন, “আগামী ৯ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে আসছেন। রাস মেলা ময়দানে ঐতিহাসিক জনসভা হবে। ইতিমধ্যে ব্লক সভাপতিদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়েছে। মঙ্গলবার রবীন্দ্রভবনে মুখ্যমন্ত্রী জনসভার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও প্রতিটি এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে প্রস্তুতি সভা করা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement