ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআরের আতঙ্কে ফের আত্মহত্যার অভিযোগ বাংলায়। এ বার ঘটনাস্থল কোচবিহার। বুধবার এক প্রৌঢ়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাই নিয়ে রাজনৈতিক শোরগোল তুঙ্গে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম হাচনা বিবি। বয়স ৫৬ বছর। কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বালাভূত এলাকার ওই বাসিন্দা মঙ্গলবার বিকেলে গলায় দড়ি দেন। পরিবারের দাবি, ভোটার কার্ডে পদবি ভুল ছিল তাঁর। ‘বিবি’-র পরিবর্তে লেখা ছিল ‘রিবি’। এসআইআর নিয়ে নানা মুখে নানা কথা শোনার পর ভোটার কার্ডে পদবি বিভ্রাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান স্বল্পশিক্ষিত মহিলা।
মৃতার দুই সন্তান রয়েছে। তাঁরা ইটভাটায় কাজ করেন। তাঁরা মাকে আশ্বস্ত করলেও আতঙ্কমুক্ত হতে পারেননি মহিলা। পরিবারের দাবি, এসআইআরের আতঙ্কে নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন হাচনা বিবি। ওই মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপিকে একহাত নেন কোচবিহারের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি যে ভাবে এসআইআর নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে, তাতে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। সেই কারণেই এই আত্মহত্যার ঘটনা।’’ পাল্টা বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি বিরাজ বসু বলেন, ‘‘সব কিছু নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করছে। যেখানে যে ঘটনা ঘটছে, তার সঙ্গে এসআইআর জুড়ছে ওরা। একজন আত্মহত্যা করেছেন। সে নিয়েও রাজনীতি! এটা দুঃখজনক।’’
উল্লেখ্য, ‘এসআইআর-আতঙ্কে’ এ নিয়ে রাজ্যে ৩১ জনের মৃত্যু হল। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, এসআইআরের ‘কারণে’ যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি এতগুলো মৃত্যুর দায় নির্বাচন কমিশন কেন নেবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।