bankura

খিচুড়িতে টিকটিকি! বাঁকুড়ায় আইসিডিএস কেন্দ্রের দেওয়া খাবার খেয়ে অসুস্থ অন্তত ১২ শিশু

গ্রামবাসীরা আইসিডিএস কর্মীদের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ,জ্বালানি হিসাবে গাছের শুকনো পাতা ব্যবহার করা হয়। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে দিনের পর দিন শিশুদের খাবার রান্না হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:১৭
Share:

আইসিডিএসের খাবারে টিকটিকি। —নিজস্ব চিত্র।

আইসিডিএস কেন্দ্রের রান্না করা খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল অন্তত ১২ শিশু। সোমবার বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের বাঁদরডিহা আইসিডিএস কেন্দ্রের খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ শিশুরা চিকিৎসাধীন ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অসুস্থ শিশুদের প্রত্যেকের অবস্থা স্থিতিশীল। তবে খাবারে টিকটিকি পড়া নিয়ে শোরগোল এলাকায়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মতো বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের বাঁদরডিহা গ্রামের আইসিডিএস কেন্দ্রে খিচুড়ি রান্না করেছিলেন আইসিডিএস কর্মীরা। বেলার দিকে সেই খিচুড়ি নিয়ে বেশ কয়েক জন শিশু বাড়িতে চলে যায়। পরে সেই খাবার তারা খেয়েও নেয়। খিচুড়ি দেওয়ার কাজ যখন মাঝপথে তখনই এক অভিভাবক লক্ষ করেন খাবারে টিকটিকি পড়েছে। ওই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় শোরগোল শুরু হয় গ্রামে। তার মধ্যে একের পর এক শিশু অসুস্থ বোধ করতে থাকে। দু’ এক জন শিশুর মধ্যে বমির উপসর্গ দেখা দেয়। তড়িঘড়ি অসুস্থ শিশুদের নিয়ে যাওয়া হয় ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে কয়েক জনের চিকিৎসা চলছে এখনও। ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু বলেন, ‘‘মোট ১২ জন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখছি।’’

খাবারে টিকটিকি পড়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি পরিতোষ কিস্কু এবং আইসিডিএসের উচ্চপদস্থ আধিকারকরা। পরে পরিতোষ বলেন, ‘‘অসাবধানতার কারণে টিকটিকি খিচুড়ির মধ্যে পড়ে সেদ্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই খাবার কয়েক জন শিশু খেয়েও ফেলেছে। তাদের মধ্যে দু’ এক জন অসুস্থবোধ করে। সকলকেই হাসপাতালে আনা হয়েছে। এখন ওরা ভাল আছে।’’

Advertisement

তবে গ্রামবাসীরা আইসিডিএস কর্মীদের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শিশুদের জন্য খাবার তৈরির সময় সাবধান হওয়ার প্রয়োজন ছিল বলে দাবি করেন তাঁরা। খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ এক শিশুর অভিভাবক জীবন বাউরি বলেন, “গ্রামের আইসিডিএস কেন্দ্রে রান্না করার জন্য জ্বালানি হিসাবে গাছের শুকনো পাতা ব্যবহার করা হয়। তা ছাড়া অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে দিনের পর দিন শিশুদের খাবার রান্না হচ্ছে। শুকনো পাতা থেকেই টিকটিকি খিচুড়িতে পড়ে থাকতে পারে। আমরা চাই এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত হোক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement